ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫৫:৪৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
বাহাত্তরেও সুরের জাদু ছড়াচ্ছেন রুনা লায়লা ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট লাফিয়ে বাড়া স্বর্ণের দামে হঠাৎ পতন, জানা গেল কারণ বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৬ ডিগ্রিতে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারীসহ দগ্ধ ৪ মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাভারের ‌‘গোলাপ গ্রামে’ হাসি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৮ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

থার্টি ফাস্ট নাইট, ইংরেজি বর্ষবরণ, পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারির মতো পহেলা বৈশাখেও ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে অন্যান্য বছরগুলোর মতো এবার পহেলা বৈশাখে ফুলের চাহিদা না থাকায় সাভারের গোলাপ গ্রামে চাষিদের মুখে হাসি নেই। দর্শনার্থী ও ক্রেতাশূন্য হওয়ায় তাদের চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ।

করোনার থাবা থেকে বেরিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর নানান আয়োজনে এবার উদযাপিত হবে পহেলা বৈশাখ। হবে মঙ্গল শোভাযাত্রাও। হরেক রকমের ফুলেল সাজে সাজবে বাঙালি হৃদয়। এমনটাই আশা ছিল সাভারের গোলাপ গ্রামের ফুলচাষিদের। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক তার উল্টো। অনেকটাই জনশূন্য গোলাম গ্রাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে ফুল ফুটে থাকলেও জোগান না থাকায় তা বাগানেই ঝরে পড়ছে। অন্যান্য বছরের মতো এবার বাগানগুলোতে নেই বৈশাখের আগের ব্যস্ততা। অলস সময় কাটাচ্ছেন গোলাপচাষি ও ফুল বিক্রেতারা। অধিকাংশ দোকানও বন্ধ। শুধু তাই নয়, চোখে পড়েনি দর্শনার্থীদেরও।

ফুলচাষি মুক্তার হোসেন জানান, বৈশাখ ঘিরে প্রায় ২ লাখ টাকার ফুল বিক্রির আশা করেছিলেন। অথচ, বৈশাখের একদিন আগ পর্যন্ত ফুল বিক্রি করেছেন মাত্র ২০ হাজার টাকা।

একই অবস্থা ফুলচাষি এখলাসেরও। তিনি বলেন, গত দুই বছর গেল করোনায়। এবার আবার রমজানের মধ্যে পহেলা বৈশাখ। সবমিলিয়ে সময় ভালো যাচ্ছে না। আগে পহেলা বৈশাখের আগে পাইকাররা অগ্রিম বুকিং দিয়ে যেতেন। এবার তেমন চাহিদা নেই। প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৫০ পয়সা থেকে শুরু করে ২ টাকায়।

ফুলচাষি ইমরান হোসেন বলেন, ভালোবাসা দিবসে ফুল ভালো বিক্রি হলেও আশায় ছিল পহেলা বৈশাখ ঘিরে ফুলের দাম ও বিক্রি ভালো হবে। কিন্তু রোজার মাসে পহেলা বৈশাখ হওয়ায় তাদের সেই আশা গুড়েবালি।

তিনি বলেন, গোলাপ গ্রামে রোজার মধ্যে ক্রেতা, দর্শনার্থী ও পাইকারও নেই। ফুল কিনবে কে? বাগানের ফুল বাগানেই নষ্ট হচ্ছে, বাগান যে পরিষ্কার ও পরিচর্যা করাব, সেই টাকাও নাই। আজ সারাদিনে ২০০ টাকার ফুল বিক্রি করেছি।

এ ছাড়া গোলাপচাষি রানা, খালেক, মীম ও ইকবালও প্রায় একই কথা বলেছেন।

সাভারের নবীনগর বাজার ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ময়েজ উদ্দিন বলেন, এবার বেচাকেনা খুবই কম। একদিকে রমজান মাস অন্যদিকে চৈত্রের তাপদাহে ঘরবন্দি মানুষ। যেমন আশা করেছিলাম বাস্তবে তা মিলছে না।