ঢাকা, মঙ্গলবার ০৫, নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৭:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম আমদানি অব্যাহত, তবুও বাড়ছে আলুর দাম দেড় মাস পর আজ খুলছে সাজেকের দুয়ার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ মার্কিন নির্বাচন: কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ট্রাম্প ও হ্যারিস নভেম্বরেও ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

সুনামগঞ্জে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সুনামগঞ্জের স্থানীয় সবজি বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু কেরেছে। এ কারণে এ জেলায় কমতে শুরু করেছে সবজির দাম।

আজ সোমবার শহরের সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সবজি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় সবজি নিয়ে বাজারে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

সকালে পৌর কিচেন মার্কেটে সবজি কিনতে আসা দেবাশীষ দে বাসসকে জানান, গত সপ্তাহে সকল ধরনের সবজি ছিল একশত টাকার ওপরে। আজ ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

একই সবজির বাজারের ক্রেতা আব্দুর রহিম বাসসকে জানান, স্থানীয় সবজি বাজারে আসায় সবজির দাম অনেকটা কমেছে। তবে স্থানীয় সীমে দাম এখনও একশত টাকার ওপরে রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, জিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি পিছ, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি,  করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, গাজর ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, লালশাক প্রতি আটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, ডাটা প্রতি আটি ২০ থেকে ২৫ টাকা,মুলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, স্থানীয় সীম একশত টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।   

সবজি ব্যবসায়ী রিপন মিয়া জানান, স্থানীয় সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম আরও কমবে। তিনি জানান, যে লাউ গত সপ্তাহে একশত টাকায় বিক্রি হত আজ একই সাইজের লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিপন আরও জানান, পাশের জেলা ময়মনসিং ও নেত্রকোনায় বন্যা হওয়ায় এ দুটি জেলা থেকে এবার সবজি না আসায় সুনামগঞ্জে সবজির দাম বেড়েছে। কারণ সুনামগঞ্জ হাওর এলাকা হওয়ায় হাওরের পানি নামার পর চাষীরা সবজি চাষ করেন। তিনি জানান, স্থানীয় সবজির চাহিদা বেশী রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করা হয়েছে। বেগুন চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫১২ হেক্টর জমিতে, ১ হাজার ১৫৬ হেক্টর জমিতে মুলা চাষ হয়েছে, সীম চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭৪১ হেক্টর জমিতে, ডাটা ৫৫৫ হেক্টর জমিতে, ১৯৫ হেক্টর জমিতে করলা চাষ করা হয়েছে।

লাউ চাষ করা হয়েছে ১হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে, ৭৮০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া, ৭৯৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ৬১১ হেক্টর জমিতে বাধা কপি, ৪৪৭ হেক্টর জমিতে শসা, ৫৩৪ হেক্টর জমিতে লালশাক, ১৬৯ হেক্টর জমিতে রাইশাক, ১৯১ হেক্টর জমিতে বরবটি,  ৪০ হেক্টর জমিতে গাজর, ৬ হেক্টর জমিতে স্কোয়াশ, ৪৩ হেক্টর জমিতে পালংশাক, ১৪০ হেক্টর জমিতে পুঁইশাক, ৩১৭ হেক্টর জমিতে খিরা, ৫ হেক্টর জমিতে শালগম, ৭ হেক্টর জমিতে ওলকপি, ১২ হেক্টর জমিতে কলমিশাক, ৬ হেক্টর জমিতে পেঁপে, ১১০ হেক্টর জমিতে উচ্ছে চাষ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমলচন্দ্র সোম জানান, জেলায় এবছর ১২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি চাষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে স্থানীয় লাউ, মূলা, লালশাক, ডাটা, আগাম জাতের সীম বাজারে আসতে শুরু করায় সুনামগঞ্জে শীতকালীন সবজি দাম কমতে শুরু করেছে।