ঢাকা, সোমবার ১৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৮:৩৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চলে গেলেন ‘পথের পাঁচালী’র ‘দুর্গা’ উমা দাশগুপ্ত ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ গাইবান্ধায় নিখোঁজের ৪ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে হেভিওয়েট ১৩ আসামিকে

সুস্থ থাকতে রোজা রাখুন : ডা: হাসান মুরাদ

ডা: হাসান মুরাদ | উইমেননিউজ২৪.কম

আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

যারা শরীরের ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত কসরৎ করেন তাদের জন্য খুব ভাল একটি সময় রমজান মাস। এ সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে জমানো চর্বি ক্ষয় হয়ে ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে।

 

তাই বলে সেহরি ও ইফতারে বেশি বেশি খেলেও কিন্তু চলবেনা। অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আসুন জেনে নেই রোজা রাখলে কিভাবে সুস্থ থাকা যায়।

 

.. রোজার ফলে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি ৬০% পর্যন্ত কমে।

.. রোজা শারীরবৃত্তীয় প্রভাব, রক্তের শর্করা কমিয়ে কোলেস্টেরল কমিয়ে এবং সিস্টোলিক রক্তচাপ কমিয়ে দেয় অতি সহজে। এভাবে পালাক্রমে কার্ডিয়াক এবং কারডিও ভাস্কুলারের দুর্ঘটনাজনিত যে সকল অসুখের ঝুঁকি থাকে তা কমাতে সাহায্য করে।

 

.. প্রায়ই দেখা যায় অনেকেরই সারা বছর গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের সমস্যা থাকে। কিন্তু রোজা আসলেই দেখা যায় তা কমে গেছে বা তেমন সমস্যা করে না । এর কারণ অতিরিক্ত ওেকান জিনিস খাওয়া হয়না। তাই বলে ইফতারে আবার ভাজাপোড়া বেশি খাওয়া উচিত নয়।

 

.. রোজা রাখার কারণে ডায়াবেটিস টাইপ-১ আরোগ্য হয় ৭০% । কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে উপবাসের ফলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে আসে। তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীরা ও সতর্কতার সাথে রোজা রাখতে পারেন, যারা ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিক রোগী, তাদের রোজা রাখা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় বেশি সতর্ক থাকতেই হবে।

 

.. রোজার সময় যেহেতু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয়, তাই কারো কারো পানি স্বল্পতা হতে পারে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য সমস্যার ব্যাপার। তারা ইফতার ও সেহরিতে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, ফলের রস, সরবত, শাকসবজি, সালাদ, ইসবগুলের ভুসি খেলে আরাম করে রোজা রাখতে সমস্যা হবে না ।

 

.. রোজা থাকায় শরীরের মেদ কমে এবং ক্ষতিকারক টক্সিনগুলো লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গের মধ্য দিয়ে রেচনের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। ফলে ঐ জাতীয় অসুখ অন্য সময়ের চাইতে অনেক কম হয় এ সময়।

 

লেখক : ডা: হাসান মুরাদ (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)