ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ২২:১০:৫৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই প্রিয়াঙ্কার বাজিমাত বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস

১০ ঘণ্টা পর ঢাকা মেডিকেলের জরুরি সেবা চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪১ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সচল হলো জরুরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উপস্থিতিতে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে চালু করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবা কার্যক্রম। এর আগে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বন্ধ ছিল এই জরুরি স্বাস্থ্য সেবা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছি। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জরুরি বিভাগ ছাড়াও আইসিইউ, এইচডিইউ ও সিসিইউসহ সব জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এটি করা হয়েছে।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে হাসপাতালটিতে সব স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। চার দফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

এরপর বেলা ৩টা থেকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও ঢামেক পরিচালক। তবে তা ঠিক নয় দাবি করে শর্তসাপেক্ষে ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানান আন্দোলনকারীরা। প্রতি চিকিৎসকের বিপরীতে একজন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য নিয়োগ শর্তে শুধু যেসব হাসপাতালে এটি নিশ্চিত করা হবে সেখানে সেবা দেয়ার কথা জানান তারা।

উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট রাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।

এক পর্যায়ে নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরও করা হয়। পরে নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। দোষীদের শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বিচারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে আলটিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।