ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ৭:৩৬:০৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৪ তেল-আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি নেই, মাছের বাজার চড়া ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজাল’ অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ৩ বিভাগে হতে পারে বৃষ্টি, ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা সংকেত পর্যটক সংকট, সেন্ট মার্টিনে যাচ্ছে না জাহাজ তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

১৯ বছর পরও মডেল তিন্নি হত্যার রায় হচ্ছে না আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নব্বই দশকের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি। ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে তার লাশ পড়েছিল। তিন্নি হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বরিশাল-২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি। ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য সোমবার (১৫ নভেম্বর) দিন ধার্য ছিল। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায়চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও সেটি আজ হচ্ছে না।

এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায়চৌধুরীর আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।

এই হত্যাকাণ্ড মডেল তিন্নির পুরো পরিবারকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। সে সময় তিন্নি ছিলেন এক কন্যাসন্তানের জননী। তার মেয়ের বয়স ছিল দেড় বছর। সে হিসেবে বর্তমানে মেয়েটির বয়স ২০ বছর। মায়ের মৃত্যুর ১৯ বছর পর সেই মেয়ে এখন কোথায়? কার সঙ্গেই বা থাকছেন তিন্নির মা-বাবা?

জানা গেছে, মডেল তিন্নির একমাত্র মেয়ে এখন বাবার সঙ্গে বিদেশে থাকেন। তিন্নিরা ছিলেন দুই বোন, ছোট বোন এয়ার হোস্টেস। তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান কর্মজীবন প্রবাসে কাটালেও এখন দেশে একা থাকেন। তিন্নির মা স্বামীকে ছেড়ে পাকিস্তান চলে গেছেন।

এদিকে কলাবাগানে ফুফুর যে বাড়িতে তিন্নিরা থাকতেন, অভির (তিন্নি হত্যার আসামি) ভয়ে বাড়িটি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় পরিবারটি। এভাবেই একটি খুনের কারণে তছনছ হয়ে যায় সাজানো পরিবার।

২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে মডেল তিন্নির লাশ পাওয়া গেলেও প্রথমে সেটি শনাক্ত করা যায়নি। পরদিন (১১ নভেম্বর) নাম না জানা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কাইয়ুম আলী সরদার।

পরবর্তীতে লাশটি তিন্নির শনাক্ত হলে মামলাটি চাঞ্চল্যকর উল্লেখ করে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।