ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৩:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সোনামসজিদ দিয়ে এলো সাড়ে ৫ হাজার টন আলু-পেঁয়াজ ৮ দফা অস্ত্রোপচারের পর ঘরে ফিরেছে জোড়া শিশু নুহা-নাভা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা শুরু হবে ওমরাহ পালনের পর তীব্র শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে

৩ দিনের ছুটি : কমলাপুরে হাজারো টিকিট প্রত্যাশীর ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আগামী ২৩-২৫ ডিসেম্বর টানা তিন দিনের ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশ। আর তাই নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে নগরবাসীর যেন মনে তর সইছে না। সে কারণে বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কিনতে ঠান্ডার মধ্যে ভোর থেকে কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বর (রোববার) বড়দিনের ছুটি। ফলে টানা তিন দিন ছুটি মিলছে। আর তাই মন চলেছে বাড়ির পথে।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে দেশের প্রধান রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুর ঘুরে দেখা গেছে, হাজারও মানুষ ট্রেনের টিকিটের জন্য ভিড় করেছেন টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে। কেউ দুটি আবার কেউ চারটি টিকিট কিনতে পেরে স্বর্গসুখ লাভ করেছেন। তাদের একটাই কথা, সারা বছর কাজের মধ্যেই এই শহরে ডুবে থাকি। শীতের পিঠাপুলি খাওয়ার সময় কোথায়? তাই তিন দিনের ছুটি যেন সৌভাগ্য।

রেল স্টেশনে কথা হয় লালমনিরহাটগামী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢাকায় তিন জনের সংসার, বাকি সব পড়ে আছে লালমনিরহাটে। একটু ছুটি পেলেই দাদা-দাদুর কাছে যেতে চায় আমার মেয়েটা। সামনে তিন দিনের ছুটি আছে। তাই বৃহস্পতিবার রাতের লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি টিকিট কষ্ট করে কিনেছি। সকাল ৬টায় এসেছিলাম টিকিটের জন্য। টিকিট পেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগল।


রাজশাহীগামী রাশেদুল হাসান বলেন, রাজশাহী সদরের নিজ বাড়িতে যাব পরিবার নিয়ে। ২২ তারিখ রাতের পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি টিকিট নিতে এসেছিলাম। আশঙ্কা করেছিলাম ভিড় হবে, স্টেশনে এসে তাই দেখলাম।

তিনি আরও বলেন, সারা বছর তো ঢাকায় কাজের মধ্যেই ডুবে থাকি। সেই কবে থেকে মা ডাকছেন শীতের পিঠাপুলি খাওয়াবেন বলে। সামনে তিন দিনের ছুটি, এরচেয়ে আর বড় সুযোগ হয় না। তাই কষ্ট হলেও শীতের সকালে এসেছিলাম টিকিট কিনতে। এখন সরাসরি অফিসে যাব।

অন্যদিকে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন অনেকে। এদের মধ্যে দিনাজপুরগামী আশিকুর রহমান বলেন, আমার সামনে ১০ জন থাকতেই টিকিট শেষ বলে জানিয়ে দিল কাউন্টার মাস্টার। আমি দ্রুতযান এক্সপ্রেসের দুটি টিকিটের জন্য এসেছিলাম। চোখের সামনে টিকিট শেষ হতে দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। সবই ভাগ্য।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার  বলেন, আজ প্রচুর ভিড় হয়েছে। সকাল থেকে টিকিট থাকা পর্যন্ত সবাই টিকিট পেয়েছে। আমাদের নিয়মিত টিকিটের জন্য সবসময় চাপ থাকে। তার মধ্যে আজ বেশি চাপ পড়েছে। উত্তরবঙ্গের ট্রেনের চাপ বেশি পড়েছে। স্টেশনে আজ তিন থেকে চার হাজারের বেশি মানুষ এসেছিল।