একে তো চৈত্রমাসের তাপদাহ। এরমধ্যে আবার চলছে পবিত্র রমজান মাস। সারাদিন সিয়াম সাধনা শেষে আসে পরম আরাধ্য ইফতার।

সন্তানদের পুষ্টি নিয়ে অভিভাবকরা চিন্তায় থাকেন সবসময়। অন্যদিকে শিশুদের খাবারদাবার নিয়ে বায়নার শেষ নেই।

মিষ্টি খেতে কেই না ভালোবাসে। যতই আধুনিক যা কিছুই খাওয়া হোক না কেন শেষপাতে মিষ্টি না হলে খাওয়াটা ঠিক সম্পূর্ণ হয় না।

‘আমি তোমাকে অসংখ্যভাবে ভালোবেসেছি, অসংখ্যবার ভালোবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালোবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময়।’

ইফতারের আয়োজনে হালিম রাখতে পছন্দ করেন অনেকে।

ইফতারে পিয়াজি, বেগুনি, আলুর চপ রাখা বেশ প্রচলিত একটি প্রথা। বাজারে এ সময় বেগুণের দামে আগুন। মাহে রমজানে খুব কম খরচে বেগুনির পরিবর্তে বানাতে পারেন মিষ্টি কুমড়া দিয়ে কুমড়ানি। 

ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা। ইসলামের পরিভাষায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, যৌন সম্ভোগ ও শরিয়ত নির্ধারিত বিধি-নিষেধ থেকে নিয়ত সহকারে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়।

প্রতিদিনের ইফতারের অন্যতম অংশ হলো ছোলা। রোজা ছাড়াও সারা বছর বিকেলের নাস্তা হিসেবে ছোলার উপস্থিতি থাকে। এটি খাওয়া যায় কাঁচা, সালাদে, সেদ্ধ করে ভেজে কিংবা ভুনা করে।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ২০০০-২৫০০ ক্যালরি সমপরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হয়।

ইফতারে শরবত না খেলে যেন প্রাণই জুড়ায় না। তাছাড়া সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতারে পানির পরিমাণটা বেশি রাখা উচিত।

গরমের তীব্রতা বাড়ছে। দিনের বেলা ঘর থেকে বের হওয়াটাই যেন কষ্টকর।

রোজার সময়ে দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এ কারণে এমনিতেই মানুষ পানিশূণ্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারেন।

মাহে রমজান প্রতিটি মুসলমানের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আল্লাহর বিশেষ করুণা ও দয়ার অপার সুযোগের মাস মাহে রমজান

কম খাচ্ছেন, না খেয়ে থাকছেন। তবুও ওজন কোনোভাবেই কমছে না। বর্তমানে এ ধরনের সমস্যা বেশ সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘সকালে রাজার মতো, দুপুরে প্রজার মতো আর রাতে ভিখারির মতো খান।’ কোন বেলায় কেমন খাওয়া উচিত, এ সম্পর্কে প্রবাদটি বেশ জনপ্রিয়।

গরমে বাইরে থেকে ফিরেই সবার আগে ফ্রিজে ঠান্ডা পানি খোঁজেন? গরমের তীব্রতায় ঠান্ডা পানি পানের তৃষ্ণা খুবই স্বাভাবিক।

বাঙালি’র রান্না ঘরে পেঁয়াজ থাকবে না তা কি হয়? একদমই না, পেঁয়াজ ছাড়া রান্না অপূর্ণই রয়ে যায়। শুধু রান্নাতেই নয়, কাঁচা পেঁয়াজেরও কদর কম নয়।

গরম আর ঘামে আমাদের অবস্থা নাজুক। এই সময়ে প্রচুর পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গরমে ঘাম হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ অনেকটাই বের হয়ে যায়।

সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় একজন মায়ের সুস্থ থাকা যেমন জরুরি, মা হওয়ার পরও শরীরে নজর দেয়া প্রয়োজন। এই সময়ে মায়ের শরীর দুর্বল থাকে।

গরমে প্রাণ জুড়াতে ঠান্ডা খাবারের বিকল্প নেই। তবে পথের পাশ থেকে খোলা খাবার কিনে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

চাইনিজ খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকেই, ছুটে যার রেস্টুরেন্টে। তারা বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন চাইনিজ পদ চিলি পনির।

তুরস্কের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম আদানা কাবাব। এটি ধীরে ধীরে আমাদের দেশেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

শরীর সুস্থ থাকলে মন ভালো থাকে, আর মন ভালো থাকলে যেকোনো কাজই সহজে করা যায়। শরীর সুস্থ না থাকলে সব কিছুতেই বিরক্তি আসে। শরীরকে সুস্থ রাখতে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খাবার ঠিক না হলে শরীর দুর্বল হয়ে পরে।

আমাদের জীবন এখন যন্ত্রের মতো হয়ে গেছে। সারা দিন- রাত এত ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটে যে নিজের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এতে করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর ও মন দুটোই।