পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের মল্লিকাদহ শাহাপাড়া গ্রামের বেকার নুর হোসেনের স্ত্রী গুলজান বেগম। গুলজান বেগমের সংসারে সাফল্য এসেছে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের সদস্য হয়ে লোন নিয়ে হাঁসের খামার করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নারী উদ্যোক্তা বিকাশ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

পাটকে ভিন্নভাবে ব্যবহার করে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের অনেক উদ্যোক্তা। তাদেরই একজন আফসানা আসিফ সোমা। তিনি পাট নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন এবং মানুষের কাছে পাটকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছেন।

ইঞ্জিনিয়ার-এমবিএ বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়ে বড় চাকরি করবে। ভারতের মুম্বাইয়ের নামজাদা এমবিএ কলেজে মেয়েকে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মেয়ের ইচ্ছা ছিল অন্য।

কিশোরী মর্জিনা বেগমের স্বপ্ন ছিল নিজে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের হাল ধরার। কিন্তু তার বাবার ছিলো অভাবের সংসার। ১৯৯৫ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় কিশোরী মর্জিনার বিয়ে হয়ে যায়।

মিনুরা, রাজশাহী জেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠি সাঁওতাল পরিবারের মেয়ে। গোদাগাড়ী থানার গোগ্রাম গ্রামে তাদের বসবাস। তার স্বামী শ্রী মানিক। পরিবারের সদস্য ৫ জন। কৃষিনির্ভর এ পরিবারটির আয়ের উৎস তিন বিঘা বর্গা জমি।

নওগাঁর ধামইরহাটের বরেন্দ্র অঞ্চলের মেয়ে রিনা আক্তার। লেখাপড়া শেষ করার পর চাকরি খোঁজার বদলে মন দিয়েছেন কৃষিকাজে। খুব অল্প সময়ে বিদেশী ফল মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন এই নারী উদ্যোক্তা।

নওগাঁয় একটি বাড়ি একটি খামার কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হয়ে শ্যামলী বেগম স্বাবলম্বী হয়েছেন। অভাবের সাথে পাল্লা দিয়ে একদিন যে পরিবার প্রতিদিন হিমশিম খেয়েছে। সেই সংসারেই আজ এসেছে সুখ আর স্বাচ্ছন্দ।

ঘন কালো জমিনের ওপর টকটকে সিঁদুরে লাল রঙের পাড়। তার উপরের দিকটায় একই রঙের আরেকটা ডিজাইন। ঠিক যেন মন্দিরের চূঁড়া। একেকবার সুতার টানে মন্দিরের মতো নকশাটি ফুটে উঠছে কাপড়টিতে। এভাবে একেকটা শাল বুনতে অনুরাণীর সময় লাগে দুই দিন। 

সাতক্ষীরা জেলার অসহায়, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও সুবিধা বঞ্চিত নারীরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন শপিং ব্যাগ তৈরির কাজ করে।

মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের শোলমারী গ্রামের বিলকিস খাতুন ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ ছাগল পালন করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগরীর তারকা হোটেল দ্যা পেনিনসুলায় ‘ঈদ এক্সট্রা ভ্যাগেনজা’ শিরোনামে আয়োজিত ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের পোশাক ও পণ্য মেলা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আজ ছুটির দিনে এই মেলায় রীতিমত উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের রিং রোড শাখার গ্রাহক ও নারী উদ্যোক্তা স্মার্ট লেদার প্রোডাক্টসের স্বত্বাধিকারী ইসরাত জাহান উর্মির হাতে ৩০ লাখ টাকার এসএমই ঋণপত্র তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। 

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণসীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা করার সুপারিশ করেছে ওমেন এন্টারপ্রিনিউয়ার্স নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (ওয়েন্ড)।

খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারিযেছিলেন তাসলিমা বেগম। বয়সটা তখন ঠিক কত মনে নেই তাসলিমার, শুধু মনে আছে মায়ের সেই হাড়ভাঙা পরিশ্রমের দিনগুলোর কথা।

এটা স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এটা গল্প নয়, সত্যি। এটা এক ভারতীয় বাঙালী তরুণীর সফলতার কাহিনী। তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ২১ লাখ টাকা নিয়ে। মাত্র চার বছরে তা ফুলেফেঁপে দাঁড়াল ৯ হাজার ৮০০ কোটিতে।

দেশে পিছিয়ে পড়া ৪০ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য ঋণ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) মাধ্যমে এ ঋণ বিতরণ করা হবে। এ ঋণের ৭০ শতাংশই পাবেন নারী উদ্যোক্তারা।

কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ফুল চাষ। নারী-পুরুষ কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন মৌসুমী ফুল চাষে। এর ফলে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে আবারও সরকার গঠন করলে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আলাদা ব্যাংকিং ও ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

দেশের সফল নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমাদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা- তিতাস) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ইনকিউবিটরের পাল্লা খুললেই লক্ষ প্রাণের স্পন্দন। কিচির-মিচির শব্দে মুখর চারদিক। ডিমের খোলস ভেঙে বেরিয়ে আসছে মুরগির বাচ্চারা।

বাংলাদেশে নারীরা বর্তমানে চাকরি ও ব্যবসাক্ষেত্রে সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছেন। ব্যবসা ক্ষেত্রে নারীদের কাছে অনলাইন ব্যবসা একটা বড় মাকের্টপ্লেস হয়ে দাড়িয়েছে। 

রুবাইয়াত উর্মি। নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ-এমবিএ করে চাকরি না খুঁজে ছোট পরিসরে নিজের ফেসবুকে গ্রুপ খুলে এফ-কমার্সের মাধ্যমে শুরু করেন অনলাইন বাণিজ্য। এর মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। মায়ের দায়িত্ব থেকে শুরু করে পুরো পরিবার দেখভাল করা আরও কত কি। এরই মাঝে একজন নারীর চাকরি করার সুযোগ থাকলেও সময়ের অভাবে তা করা হয়ে উঠেনা।