জনপ্রিয় ছড়াকার বা লেখক হতে হলে যে, ২/১টি ছড়া কিংবা হাতেগোনা কিছু বইই যথেষ্ট, ছড়াকার হোসনে আরা (১৯১৬- ৩০ মার্চ ১৯৯৯) তারই জাজ্জ্বল্য এক নজির।

মুজিব আমার, মুজিব তোমার
মুজিব সারা বিশ্বের,
মুজিব আমার গরীব-দু:খী
ভুখা-নাংগা-নিঃস্বের।

পিতা তোমার কফিন নিয়ে
আমরা ঘুরি কাঁধে
আকাশ বাতাস পাহাড় নদী
সাগর গুমড়ে কাঁদে।

ছোট্ট পাখি টুনটুনি,
কিচিরমিচির গান শুনি।

আজ শনিবার বিশ্বের প্রথম শিশু পাঠাগারসহ ট্রামের উদ্বোধন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়। আজ দেশটিতে শিশু দিবসও উদযাপন করা হচ্ছে।

১৫ আগস্ট উপলক্ষে কিশোর লেখার পাঠকদের জন্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর বহমানকে নিবেদিত আইরীন নিয়াজী মান্নার কয়েকটি ছড়া উপস্থাপন করা হলো।

আমি মেঘনা পাড়ের ছেলে
আমি মেঘনা নদীর নেয়ে।
মেঘনা নদীর ঢেউয়ের বুকে
তালের নৌকা বেয়ে
আমি বেড়াই হেসে খেলে
আমি মেঘনা পাড়ের ছেলে।

আজ ১২ জুন, শুক্রবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। প্রতি বছর ১২জুন বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।

নদী গোনে ঝিকিমিকি তারা, খেলা করে দুধশালি পুঁটি।
ছেলেবেলা পুরে যারা থাকে, তারা বলে সারাবেলা ছুটি।

হঠাৎ প্রকৃতি দুঃখে ছেয়ে গেল। কী অসুখ হলো প্রকৃতির? গাছগুলো থির হয়ে গেল। বাতাসে কেমন কষ্ট কষ্ট রেশ। সব ফুল হলুদ হয়ে হয়ে ফোটে। লাল জবাফুল। নীল নীলমনি। শাদা বেলফুল। গোলাপি গোলাপ, সব ফুলের নিজস্ব রং উধাও হয়ে গেছে। সব ফুল এখন হলুদ। ছোট্টো ফাতেমা ভাবে, কী হইছে সবার?

প্রত্যেক শিশুই একেকজন সৃজনশীল ক্ষুদে ‍শিল্পী। প্রত্যেক শিশু সৃজনশীল, বিজ্ঞান মনষ্ক ও অনুসন্ধিৎসু হয়ে গড়ে উঠবে এই প্রত্যাশায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রক্তের ঋণ, শ্রমিকের দিন- মে দিন
উঠেছিলো মহা সূর্য রঙিন- সেদিন।

কোথায় চলেছো? এদিকে এসো না! দুটো কথা শোনা দিকি
এই নাও- এই চকচকে ছোটো, নুতন রূপোর সিকি
ছোকানুর কাছে দুটো আনি আছে, তোমারে দেবো গো তা-ও,
আমাদের যদি তোমার সঙ্গে নৌকায় তুলে নাও।

বৈশাখে ঝাউ শাখে উঠলো যে ঝড়/
শুকনো গাছের পাতা করে মড়মড়।

আজ সকালে একটা অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে। ঘুম ভেঙে বারান্দায় যেতেই মালিহা দেখে গাঁদা ফুলের টবের ফুলটার উপরে একটা নীল প্রজাপতি বসে আছে।

বিশ্বের প্রতিটি দেশের স্কুলে টিফিনের নিজস্ব ধরন আছে। স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের নানা রকম লাঞ্চ ও নাস্তা দেয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীদের সেটম্যানুও দিয়ে থাকে। অনেক স্কুলেই বাচ্চাদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়।

বুবুরে তুই সেই যে কবে গেছিস্ পরের ঘরে
আর এলিনা! একলা আমার মন যে কেমন করে!

ভারতে শিশু সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য এ বছর সাহিত্য আকাদেমি বাল পুরস্কার পেতে চলেছেন কোলকাতার সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ প্রকাশিত হয়েছে। শিশু-কিশোরদের উপযোগী হলেও সব বয়সের পাঠকদের কাছে বইটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সম্প্রতি বইটি প্রকাশ করেছে। 

রাত থম থম স্তব্ধ নিঝুম, ঘন ঘোর আধিয়ার,/
নি:শাস ফেলি তাও শোনা যায় নাই কোথা সাড়া কার।/
রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া একেলা জাগিছে মাতা,/
করুণ চাহনি ঘুম ঘুম যেন ঢুলিছে চোখের পাতা।

নারকেলের ঐ লম্বা মাথায় হঠাৎ দেখি কাল/ ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে ঠাণ্ডা ও গোলগাল।/ ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে এলেম ঘর/ ঘুমন্ত এই মস্ত শহর করছিলো থরথর।

যাদুর মায়া পূবের কোণে
সোনার থালায় হাসি,
উদাস আমি, আপন মনে 
মেঘের ভেলায় ভাসি,

আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।
নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তোমার কাছে ?
-হাত দিওনা আমার শরীর ভরা বোয়াল মাছে।

ঝিকিমিকি দেখা যায় সোনালি নদীর,
ওইখানে আমাদের পাতার কুটির।
এলোমেলো হাওয়া বয়, 
সারা বেলা কথা কয়,
কাশফুলে দুলে ওঠে নদীর দু'পার,
রূপসীর শাড়ি যেন তৈরি রূপার।