দেশজুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। চলতি মাসে আরও একটি তীব্র ও দুইটি মৃদু তাপপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই গরমে ঝুঁকি বেড়েছে হিটস্ট্রোকের।

ঘূর্ণিঝড় ফণী চলে যাওয়ার পর যেন তাপমাত্রার বেগ বেড়েছে। আর তাতে সারাদিন রোজা রেখে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে আবার আবহাওয়া অফিস বলছে,আগামী দুই দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত এবং আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের কয়েকটি এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা আরও এলাকায় বিস্তার লাভ করতে পারে। ঢাকায় আজকের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বঙ্গোপসাগরে এ মাসে আরও দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সেই নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্টি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’।

ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে দীর্ঘদিন পর বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা অনেকটা কমেছিল। তবে ফণী’র প্রভাব কেটে যাওয়ার পর আবার তাপমাত্রা বাড়ছে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চক্রাকারে আসতেই থাকে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের দল৷ প্রবল গতিতে সেই ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দেয় জনজীবনকে৷ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যায় উপকূল এলাকার সবকিছু৷

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আগামীকাল শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বাংলাদেশ অতিক্রমের সময় এটির গতি হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।

গেল ৪৩ বছরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে এপ্রিল মাসে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ‘ফণি’ সবচেয়ে শক্তিশালী। জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়ের শক্তি আরও বাড়বে। বুধবার ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। অন্ধ্র উপকূল হয়ে ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসব হবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর ক্রমশ শক্তি হারাবে।

ঢাকার তাপমাত্রা আজ সোমবার ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অসহনীয় গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমবে। জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ফসল বাঁচাতে একদিন এমু পাখিদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী নামানো হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়৷ ১৯৩২ সালের সেই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ধিকৃত হয়েছিল এই দেশটি৷

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। কয়েকদিন ধরে চলা এমন তাপপ্রবাহে অসহনীয় হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন। বৃষ্টি না হওয়ায় এবং বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। গরমে আর ঘামে একাকার অবস্থা।

ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের কয়েকটি জায়গায় তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। তীব্র গরমে গত কয়েকদিন ধরেই অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। বৃষ্টির প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে সাধারণ মানুষ।

বৈশাখের শুরু থেকে সূর্যের তেজ যেন বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এভাবে চলতে থাকলে আগামী মাসের শুরুতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।

বৈশাখে সূর্যের দাপট একটু বেশি থাকে। তবে এবার রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা হওয়ার বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এপ্রিল মাসে বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৪ এপ্রিল (রবিবার) বাংলা নববর্ষ ১৪২৬।  বর্ষবরণের প্রথমদিনে সকালে রৌদ্র উজ্জ্বল থাকবে। তবে পহেলা বৈশাখের আনন্দ ফিকে করে দুপুরে নামতে পারে বৃষ্টি। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চলতি মাসে আরো দু’টি কালবৈশাখী ঝড়ের আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যার একটি হতে পারে এই মাসের ১৭ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে যেকোনো সময়ে। অপরটি আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে মাসের শেষে। এছাড়াও পহেলা বৈশাখে রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি এ মাসের পুরোটা জুড়েই আবহাওয়ার দ্বৈত আচরণ থাকবে।

আগামী ১৪ এপ্রিল নববর্ষ পর্যন্ত থাকবে ঝড়-বৃষ্টির এই প্রবণতা। তবে গত কয়েক দিন ধরে যে তীব্রতা-এটা বুধবার পর্যন্ত থাকতে পারে। আজ মঙ্গলবার মুষলধারে ঝরার পর বেলা ১১টার দিকে তুমুল বৃষ্টি নামে নগরজুড়ে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আগামী দুই থেকে তিনদিন ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও হালকা শিলা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বায়ুদূষণের কারণে ২০১৭ সালে ভারতে ১২ লাখের বেশি মানুষের মারা গেছে বলে স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  ২০১৫ সালে দেশটিতে বিষাক্ত বাতাসে ১১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।