ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩৬:৪৫ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিএনপি নেত্রী পাপিয়ার কথাই সত্য হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। সেই মামলায় গত ২১ অক্টোবর তাকে ৫ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর সেদিনই এমপি হারুনের স্ত্রী ও বিএনপির সাবেক এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়া বলেন, ১০ দিনের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তার স্বামী এমপি হারুনের জামিন হয়ে যাবে।

অতঃপর বিএনপি নেত্রী পাপিয়ার সেই কথাই সত্য হলো। ১০দিনের আগেই জামিন পেলেন এমপি হারুন। বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে ৬ মাসের জামিন পেলেন তিনি।  পাশাপাশি তার জরিমানাও স্থগিত করা হয়। সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।  

এই মামলায় পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনায়েতুর রহমান বাপ্পিকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।

অপর পলাতক আসামি গাড়ি ব্যবসায়ী স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেককে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।

কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি। একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই নেতা।

-জেডসি