ঘূর্ণিঝড়ের নতুন নামের তালিকা তৈরিতে আট দেশ
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার
বুলবুল এখন অতীত। উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় (আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর) এবার যে ঘূর্ণিঝড়টি জন্ম নেবে, তার নাম হবে পবন। এর পর আম্ফান। কিন্তু তার পর? তৃতীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম কী হবে?
ভারতীয় কেন্দ্রীয় মৌসুম ভবন বলছে, তাদের তালিকায় আর মাত্র দু’টি নাম রয়েছে। তাই দ্রুত নতুন নামের তালিকা তৈরি করতে নেমে পড়েছে উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের আটটি দেশ ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ওমান এবং মালদ্বীপ। কিন্তু নামকরণে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই নতুন বছরে জানুয়ারি মাসের মধ্যে তালিকা তৈরি করে ফেলার চেষ্টাও চলছে।
শীতের শুরুতে যে ভাবে ‘কিয়ার’, ‘মহা’ এবং ‘বুলবুল’-এর আবির্ভাব ঘটল, তা আরও চিন্তায় ফেলেছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের। সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে। তা নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। তেমনই এর পর যে ঘূর্ণিঝড়গুলো সাগরে ‘জন্ম’ নেবে, তাদের কী নাম রাখা হবে, তা নিয়েও সমান গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা চলছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান বিভাগের ঘূর্ণিঝড় বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘নতুন বছরের জানুয়ারির মধ্যে নতুন তালিকা তৈরি হয়ে যাবে। সব দেশের সঙ্গেই আলোচনা চলছে।’
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ভারত, বাংলাদেশসহ আটটি দেশ, নিজদের মতো করে বেশ কিছু নাম ঠিক করে ফেলেছে। তার মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হবে বেশ কিছু নাম। এই প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে ফেলতে চাইছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
এই নামকরণের সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছে দিল্লির ‘রিজিওনাল স্পেশ্যালাইজড মেটেরিওলজিক্যাল সেন্টার’। উপমহাদেশে দেড় দশক আগে নামকরণের রীতি চালু হয়। তবে এই নামকরণের বিষয়টি বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ভারতের দেওয়া প্রথম নাম ছিল ‘অগ্নি’।
সিডার, আয়লা, পিলিন, লেহর, মাদি, বায়ু, কিয়ার, মহা, ফণি, বুলবুলের নামকরণ করেছে ওই আটটি দেশ। এ বার যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হবে। তার নাম হবে পবন। এই নামটি দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম আম্ফান। তা তাইল্যান্ড-এর দেওয়া।
নামকরণের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম আছে। সাধারণত ছোট এবং সহজভাবে উচ্চারণ করা যাবে, এমন নাম ঠিক করা হয়। ওই নামের মধ্যে দেশের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি। ঘূর্ণিঝড় নামকরণে বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে। একই সঙ্গে দুটি ঘূ্র্ণিঝড় তৈরি হলে, আলাদা ভাবে তা চিহ্নিত করা যায়। সহজেই যে নাম মনে রাখা সম্ভব তেমন নামই দেওয়া হয়।