পেঁয়াজের বাজার শিগগিরই স্বাভাবিক হবে: তোফায়েল
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:৫০ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
ছবি: সংগৃহীত
লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পেঁয়াজের বাজার খুব শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেজন্য দেশে আরো ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসছে। সেই গুলো আসলেই পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ হবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এই সব কথা বলেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে। ২৯ সেপ্টেম্বর অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভরশীল। ফলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বাড়তে থাকে। তখন দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা হয় দেশি পেঁয়াজের দাম। দাম কমানোর জন্য মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে সরকার। এছাড়া, টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি ও আড়তগুলোতে অভিযানের পর দাম কিছুটা কমলেও পরে আবারো দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর তুরস্ক ও মিশর থেকে আরো আমদানি করে দাম ৮৫ টাকায় নামিয়ে আনার আশা দেখালেও প্রকৃতপক্ষে তো ঘটেইনি, উল্টো লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে দুই শ ছাড়িয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে কেজিতে দাম বেড়ে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। আবার কিছু কিছু বাজারে পেঁয়াজের দর ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা বার্ষিক চাহিদা উৎপাদন এবং ঘাটতি কতো তা নিরুপণ করি। এরপর আমদানি করে থাকি। কিন্তু, এই বছর সেটি ঠিকভাবে নিরুপণ করতে পারি নাই। এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলেও একটা প্রভাব আছে। অপরদিকে, ভারত থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করি থাকি। কিন্তু, ভারত এই বছর সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এই বছর পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। সবমিলেই পেঁয়াজের বাজারে একটা প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, আমি যখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম- তখন বাৎসরিক চাহিদা, উৎপাদন এবং ঘাটতি নিরুপণ করেই চার থেকে পাঁচ মাস পূর্বে পদক্ষেপ নেয়া হতো। কিন্তু, এই বছর হয়তো সেটি আমরা ঠিকভাবে অনুমান করতে পারি নাই। এই থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে।
পরে তোফায়েল আহমেদ ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা; দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন এবং ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন- ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক; পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়ছার; জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব; সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
-জেডসি