খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
এদিকে, খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। আদালতের প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য রাখা হয়েছে। মূল ফটকগুলো দিয়ে প্রবেশের সময় আগত ব্যক্তিদের পরিচয়পত্রও দেখাতে হচ্ছে।
এ ছাড়া পরিচয়পত্র যাচাই করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োজিত সদস্যরা আইনজীবীদের পরিচয় ও তালিকা যাচাই করতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার আবেদনটি আজকের আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ১২ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আদালতের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন গতকাল বিকেল সুপ্রিমকোর্টে পাঠানো হয়।
এর আগে গত বৃস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) তার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন না পেয়ে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি পেছানোয় আদালত কক্ষে নজিরবিহীন হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
জামিন শুনানির দিন এগিয়ে আনার দাবিতে বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা আদালতকক্ষের ভেতরে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ মিছিল করেন। হট্টগোল শুরুর পর থেকে সেদিন আপিল বিভাগ একটি মামলারও শুনানি করতে পারেনি।
গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চান আপিল বিভাগ। সেদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে তাকে মানবিক কারণে জামিন দিতে খালেদার আইনজীবীর আবেদনের পর ওই আদেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু ৫ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন প্রস্তুত ও দাখিলের জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আপিল বিভাগ খালেদার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলে ১২ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। এ অনুসারে গতকাল খালেদার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে। যা আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
গত বছর ২৯ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে এ মামলায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। মামলার বাকি সব আসামিকেও একই সাজা দেওয়া হয় এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষণা করেন আদালত। সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন না পেয়ে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে জামিন চান খালেদা জিয়া।
গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড দেওয়ার পর আদালত খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠান। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।