সংগ্রামী সাফিয়ার সাতকাহন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৫:৩৪ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৩ মঙ্গলবার
গত ১০ বছর ধরে শাহাজাহানপুরের ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করে চলেছেন সাফিয়া খাতুন৷ শুরুতে স্বামীকে নিয়ে দুজন মিলেই একাজ করতেন৷ পরে এই পিঠা বিক্রির আয় থেকেই বাজারে মুদির দোকান নেন তার স্বামী৷ এখন সাফিয়াকেই পিঠা বানানো থেকে শুরু করে সবকিছু একা সামলাতে হয়৷ যদিও মাঝেমধ্যে ছেলে এসে শুকনো কাঠ চিড়ে দেয়৷ তবে সরিয়া, কালিজিরা, শুটকি ও মরিচ ভর্তা বাসা থেকেই তৈরি করে নিয়ে আসেন তিনি৷
সাতসকালে উঠে শুরু হয় তার কাজ, চলতে থাকে অনেক রাত পর্যন্ত৷ সাফিয়া জানান, সব পেশার লোকজনই আসে তার পিঠার দোকানে৷ এমনকি বাসাবাড়ির মহিলারাও পিঠা নিয়ে যান এখান থেকে৷ মূলত চিতই পিঠাই বানান তিনি৷ দশ কেজি চালের এই পিঠা থেকে দিনান্তে তার গড় আয় হয় ৭০০-৬০০ টাকা৷
তবে পুলিশকে নির্ধারিত ৫০ টাকা ও হিজরাদের ৪ টাকা চাঁদা দিতেই হয়৷ এর সঙ্গে আছে ফুটপাতের ভাড়াও৷ আগে মহল্লার অলি-গলিতেই পিঠা বিক্রি করতেন সাফিয়া৷ পিঠার বিক্রির আয় থেকে পরে এই জমাটি রাস্তার ফুটপাতেই শুরু করেন পিঠার দোকান৷ এখন ভালোই চলছে সব কিছু৷ প্রায় এক যুগ আগে কাজের আশায় গ্রামের ভিটামাটি বিক্রি করে স্বামীর হাত ধওে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছিলেন সাফিয়া৷ পিঠা বিক্রি দিয়েই শুরু হয়েছিল তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন৷ জীবনে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে করেছেন অনেক সংগ্রাম৷ নিজের রোজেগারের টাকা দিয়েই বিয়ে দিয়েছেন মেয়েকে৷ এখন মেয়ে আর নাতি নিয়ে ৪০০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে থাকছেন ভাড়াবাড়িতে৷ সুখে আছেন বলে জানান, সাফিয়া খাতুন৷ ১২ নভেম্বর`২০১৩