রাজধানীতে নেই পর্যাপ্ত নারীবান্ধব পাবলিক টয়লেট, ভোগান্তিতে নারীরা
মাজেদুল হক তানভীর
প্রকাশিত : ০৯:০৯ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ শুক্রবার
ঢাকার রাস্তায় প্রতিদিন চলাফেরা করেন গড়ে ২৫ লাখ নারী। আর এই সংখ্যার বিপরীতে নারীদের জন্য পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা মোটে আট। ফলে, রাস্তায় অবস্থান করার সময় টয়লেট ব্যবহারের মতো সাধারণ নাগরিক অধিকার পেতে নারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অপরদিকে রাজধানীতে নারীদের জন্য স্বল্পসংখ্যক পাবলিক টয়লেট থাকলেও, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী।
অতিরিক্ত টাকা, পুরুষদের অবাধ প্রবেশসহ নানা অনিয়মে গণশৌচাগার ব্যবহারে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নারীরা। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট বাড়ানোর পরামর্শ সচেতন নারীদের।
সরেজমিনে রাজধানীর গাবতলীত, ধানমন্ডি লেক, চন্দ্রিমা উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, নারীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেট থাকলেও মানসম্মত না হওয়ায় সেখানে নারীর উপস্থিতি কম। মাত্র ৩ বা ৫ টাকায় পুরুষরা গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারলেও ১০ টাকার নিচে কোন প্রয়োজনই সারতে পারেন না নারীরা। আবার, নিয়ম থাকা সত্ত্বেও একজন করে নারী অ্যাটেনডেন্ট না থাকায় টয়লেট ব্যবহারে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। চন্দ্রিমা উদ্যানে বেড়াতে আসা শারমিন আক্তার উইমেননিউজকে বলেন, টয়লেটের বাইরে নির্দেশনা থাকার পরেও বিভিন্ন অজুহাতে নারীদের টয়লেট ব্যবহার করেন পুরুষরা। এমন অভ্যাস বন্ধে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের দিকে জোর দাবি জানান তিনি।
পরিবেশবিদ রিজওয়ানা হাসান বলেন, "টয়লেট না করা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি অস্বাস্থ্যকর জায়গায় টয়লেট করাটাও তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।"
তিনি বলেন, "এক স্থানে টয়লেট করার চেয়ে পৃথক স্থানে টয়লেট নির্মাণ করলে নারীরা স্বাচ্ছন্দবোধ করবে। আর পুরুষের অবাধ প্রবেশ বন্ধ হবে।"
নারীদের কাছ থেকে কম সেবামূল্য নেয়ার পাশাপাশি টয়লেটের সংখ্যা বাড়ানোর জোর তাগিদ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ। এমতাবস্থায় শিগগিরই একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নারীদের জন্য বেশ কিছু আধুনিক টয়লেট নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।