নারীপদ পূরণে ৫ বছর সময় বাড়ানোর পক্ষে আ. লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:০৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২০ বুধবার
নারীপদ পূরণে ৫ বছর সময় বাড়ানোর পক্ষে আ. লীগ
রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনে ৫ বছর সময় বাড়ানোর পক্ষে মতামত দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণের বিধান প্রস্তাবিত নতুন আইনে রাখার জন্য মতামত দিয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. আলমগীর আজ বুধবার নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত মোতাবেক ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী পদ পূরণের বিধান রয়েছে।
বর্তমানে আরপিও থেকে দল নিবন্ধনের অধ্যায়টি তুলে দিয়ে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০’ নামে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করছে ইসি। আর এই নতুন আইনের খসড়ার উপর সকলের কাছে মতামত চেয়েছিল সংস্থাটি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগসহ ১৬টি নিবন্ধিত দল, ১০টি অনিবন্ধিত দল এবং ১০ জন ব্যক্তি মতামত দিয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, মতামতগুলো মিশ্র। কেউ বলেছে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রের জন্য আলাদা আলাদা সময় বেঁধে দেয়ার জন্য। কেউ বলেছে নারী সদস্য পদ পূরণে সময় আর না বাড়াতে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও তারা মতামত দিয়েছে। আমরা সকল মতামত একসঙ্গে করছি। এরপর কমিশনের কাছে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ৩১ জুলাই মতামত দেয়ার সময় শেষ। আর সময় বাড়ানো হবে না। এরপরই যৌক্তিক মতামতের ভিত্তিতে নতুন দল নিবন্ধন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
আওয়ামী লীগের প্রস্তাব ইসি সচিবের কাছে এর আগে জমা দিয়ে যান দলের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৫০ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে দৃঢ় ভূমিকা রয়েছে, আমরা সেভাবেই আমাদের মতামত দিয়েছি।
ইসি দল নিবন্ধনের নতুন আইনের খসড়ায় দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যপদ পূরণের বিষয়ে সময়ের বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে দলগুলো নিজের গঠনতন্ত্রে কতদিনের মধ্যে নারী সদস্যপদ পূরণ করবে, তা উল্লেখ করবে এবং ইসিকে সময় সময় সেই প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করবে।
খসড়ায় নিবন্ধন পাওয়ার অন্যতম শর্ত হিসেবে আবেদন করার তারিখ থেকে পূর্ববর্তী দুটি সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে কমপক্ষে একটি আসন পাওয়ার বিষয়টিও রাখা হয়েছে। ওই সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে আবেদনকারী দলের অংশগ্রহণ করা আসনে প্রদত্ত মোট ভোটের ৫ শতাংশ পাওয়ার বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও, পরপর দু’বছর সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন বাতিলের বিষয়সহ প্রস্তাবিত আইনে একগুচ্ছ শর্ত রাখা হয়েছে।
কোনো দল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে সেই দলকে বাধ্যতামূলকভাবে ইসি থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪১টি।