মঙ্গলে নদী নয়, সুপ্ত হয়ে বইছে বরফের পানি
ডেস্ক রিপোর্ট
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার
ছবি: ইন্টারনেট
মঙ্গলের পিঠে জমে রয়েছে বরফের খণ্ড। মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বরফের বিশাল পাহাড়। তারই নিচে বয়ে গেছে জলস্রোত। তাছাড়া মঙ্গলের পিঠজুড়ে নদী বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। এমনটাই দাবি করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার বিজ্ঞানীরা। নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার রিপোর্টে জানা গেছে এমন তথ্য।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলের পিঠজুড়ে নদী বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলের পিঠের প্রায় ১১৫ ফুট গভীরতা পর্যন্ত বরফের স্তর থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাছাড়া ওয়াটার আইসের বেশির ভাগটাই রয়েছে লাল গ্রহের মেরুতে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া জানিয়েছে, মঙ্গলে নদী নয় বরং বরফের পানি বইছে সুপ্ত হয়ে। পৃথিবী নিজের কক্ষপথে ঘুরতে যে সময় নেয়, তার চেয়ে সামান্য কিছুটা বেশি সময় নেয় এই লাল গ্রহ। ঘণ্টার হিসেবে তাই মঙ্গলের একটি দিন আমাদের চেয়ে সামান্য একটু বড়। তার দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট থেকে ২৪ ঘণ্টা ৩৯ মিনিটের মধ্যে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গবেষকরা বলছেন, গত ৪০ বছর ধরে শতাধিক উপত্যকার খোঁজ মিলেছে মঙ্গলে। এই উপত্যকাগুলো আকারে, পরিধিতে একে অপরের থেকে আলাদা। অনেকটা পৃথিবীরই মতো। পৃথিবীতে যেমন কোনো উপত্যকা দিয়ে নদী বয়ে যায় অথবা কোথাও জমে থাকে হিমবাহ। মঙ্গলেও ঠিক তাই।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার আর্থ সায়েন্সের গবেষক মার্ক জেল্লিনেক বলেছেন, মঙ্গলের বায়ুস্তর পৃথিবীর একশ’ ভাগের এক ভাগ মাত্র। দিনের বেলা প্রচণ্ড তাপে উত্তপ্ত থাকে মাটি। যদি মঙ্গলের পিঠে সামান্য পানিও থাকে তাহলে তা সবই শুকিয়ে যাবে সূর্যের তাপে।
প্রায় দশ হাজার এমন মার্শিয়ান ভ্যালি বিশ্লেষণ করা হয়েছে নতুন অ্যালগরিদমে। তাতেই এই প্রমাণ মিলেছে।
-জেডসি