ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, নভেম্বর ২০২৪ ২:৩৫:১৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হলে অপরাধীরা ভীত হবে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হলে অপরাধীদের মধ্যে ভীতি থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। আমার মনে হয়, মানুষের মনের ভাষা প্রধানমন্ত্রী বোঝেন। এটি এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। কাজেই তাদের এ দাবিকে অবশ্যই আমরা স্বীকৃতি দেবো। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হলে সবার মধ্যে একটি ভীতিও থাকতে পারে। যেভাবে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে, ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে, এ ধরনের কঠোর আইন প্রয়োগ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় এই মুহুর্তে নেই বলেও মনে করেন তিনি।

এদিকে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আগামীকাল এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। অর্থাৎ কাল থেকে এটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে এটির আইনি যাচাই (ভেটিং) হবে। যেহেতু সংসদ অধিবেশন আপাতত চলমান নেই, তাই সরকার সংশোধিত আইনটি একটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, বিদ্যমান আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন আছে। সেটিকে এখন মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। এর ফলে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় সংশোধনী আনা হবে।

সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় উঠে। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে গত ৭ দিন ধরে। এসব কর্মসূচি থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের’ দাবি উঠে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার আইন পরিবর্তনের এই পদক্ষেপ নিল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি এসেছে, তাই সরকার তা বিবেচনায় নিয়েছে।

-জেডসি