রোহিঙ্গা ইস্যুতে ১০ ফেসবুক আইডি বন্ধে পুলিশের চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৪:০৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার
রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যেসব আইডি থেকে উগ্রপন্থি ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক লেখা পোস্ট করা হচ্ছে, তা শনাক্ত করেছে আইন-শৃগ্ধখলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ বলছে, এসব আইডি থেকে উগ্রপন্থার বিষবাষ্প ছড়ানোর অপচেষ্টাহহচ্ছে।
মিয়ানমারে সংঘটিত সহিংসতার প্রকৃত চিত্রের বদলে সেখানে অনেক ভুল বার্তা দেওয়া হয়। কোনো কোনো আইডি থেকে জিহাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ-বিদেশে এসব প্রচারের কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থি লেখা ও ছবি পোস্ট করা হহয়েছে- এমন ১০টি আইডি ও তিনটি পেজ শনাক্ত করে তা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।
এর মধ্যে তিনটি আইডি বন্ধ করে পুলিশকে অবহিত করেছে ফেসবুক। বাকি সাতটি আইডি বন্ধ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া আরও ১২টি আইডি নতুনভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, যেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উগ্রপন্থি লেখা পোস্ট করা হচ্ছে। সংশ্নিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য জানায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ডিসি আলিমুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা সংকটকে পুঁজি করে কেউ যাতে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
এরই মধ্যে ফেসবুকের এমন কিছু আইডি শনাক্ত করা হয়েছে, যেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে ভুল তথ্য ও ছবি পোস্ট করে চরমপন্থাকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ১০টি আইডি বন্ধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি আইডি নজরদারিতে রয়েছে।
পুলিশ বলছে, যেসব আইডি থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তার অধিকাংশ ফেইক। সহিংসতার এমন ছবি সেখানে পোস্ট করা হয়েছে, যা আদৌ মিয়ানমারের নয়। যারা এসব ফেইক আইডি খুলেছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে। এদিকে, রোহিঙ্গা সংকটকে কাজে লাগিয়ে যাতে কোনো অপরাধী চক্র তৎপর হতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক গোয়েন্দারা। পুলিশ সদর দপ্তর ও র্যাবের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে এরই মধ্যে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে মাদক, অস্ত্র, মানব পাচার ও জঙ্গি তৎপরতায় রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পরিচয় গোপন করে রোহিঙ্গাদের হাতে যাতে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার আইডি কার্ড বা সরকারি কোনো কাগজ তুলে দিতে না পারে, তা নিয়েও সতর্ক রয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।