কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল, জনজীবনে স্থবিরতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার
ছবি: সংগৃহীত
কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে বয়ে যাওয়া হিম বাতাসে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল, গ্রাম ও শহরের মানুষের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতে এই অঞ্চলের প্রতিটি জেলার মানুষের রোজকার ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ আর গরিব-দুস্থরা। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দিন যাচ্ছে অহসায় মানুষদের। এছাড়া বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরের জেলাগুলোতে মাঝে মাঝে সূর্য উঁকি দিলেও তা কিছু সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। জীবিকার সন্ধানে যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন সেইসব দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ যে যার সাধ্য অনুযায়ী নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। কারও কারও গরম কাপড় না থাকায় হালকা কাপড় পরিধান করে বেরিয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে।
উত্তরাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন চার শতাধিক চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ। তীব্র শীতে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু বাতাস।
আদনান নামে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার এক কৃষক জানান, কয়েকদিন ধরে রোদ না থাকায় ঠান্ডা এতো বেড়েছে যে মাঠে কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। রোদ না থাকায় গরু-ছাগল নিয়েও বিপদে আছেন। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রবিশস্য।
এদিকে, রংপুরের তারাগঞ্জে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিনদিন ধরে সূর্য দেখা যায়নি। উপজেলা সদরের বাসিন্দা রফিকুল জানান, হামার মতো গরিবদের জন্য গরমেই ভালো। পাতলা ছিড়া কাপড় গাওত দিয়া থাকা যায়। ঠান্ডাত মোটা কাপড় নাই।
নাটোরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন। হাটবাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যার পরপরই। বেলা ১১টার আগ পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানই বন্ধ থাকছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে রংপুর বিভাগে দু-এক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে এবং তা কোথাও কোথাও বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
-জেডসি