দীর্ঘ ৪০০ বছর পর আজ কাছাকাছি আসছে বৃহস্পতি ও শনি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
দীর্ঘ ৪০০ বছর পর আজ কাছাকাছি আসছে বৃহস্পতি ও শনি
আজ সোমবার রাতে এক বিরল ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। সপ্তদশ শতাব্দীতে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলেই যখন বেঁচে ছিলেন, সেই সময় বৃহস্পতি ও শনি গ্রহ পরস্পরের খুব কাছে চলে এসেছিল।
প্রায় ৪০০ বছর পর ২১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বছরের সবচেয়ে ছোট দিন আজ সোমবার সৌরমণ্ডলে বিরল এক ঘটনা ঘটবে। এদিন সৌরমণ্ডলের দুই গ্রহ বৃহস্পতি ও শনি পরস্পরের খুব কাছে চলে আসবে। সূর্যাস্তের ঠিক পর কোনো উপকরণ ছাড়াই সাধারণ মানুষ এই দৃশ্য খালি চোখে দেখতে পারবেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হিসেব বলছে, পরিবারের বড় ও মেজো সদস্য যথাক্রমে বৃহস্পতি ও শনিকে এত কাছাকাছি আসতে দেখা গিয়েছিল প্রায় ৮০০ বছর আগে। তার পরে ৪০০ বছর পরে এক বার কাছে এলেও তা পৃথিবী থেকে দেখা যায়নি। আজ, সোমবার রাতে ফের ওই দুই গ্রহকে খুব কাছাকাছি দেখতে পাবেন মানুষ। সেই পরিপেক্ষিতে এ বারের এই ‘মহা-সংযোগ’ বা গ্রেট কনজাংশন যথেষ্টই দুর্লভ। যদিও ২০৪০ সালে বৃহস্পতি আবার শনিকে অতিক্রম করবে কিন্তু রাতের আকাশে এই মিলনকে আবার প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করতে হবে ২০৮০ সাল পর্যন্ত।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছে, সোমবার বৃহস্পতি ও শনির মধ্যে মাত্র ০.১ ডিগ্রি দূরত্ব থাকবে। আবহাওয়া অনুকূল হলে সূর্যাস্তের পর এমন বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারবে পৃথিবীবাসী।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, সৌরজগতের দুটি গ্রহ পরস্পরের খুব কাছাকাছি আসা বিরল ঘটনা নয়। বৃহস্পতি তার প্রতিবেশী গ্রহ শনির পাশ দিয়ে প্রতি ২০ বছর অন্তর যায়। তবে এতটা কাছ দিয়ে নয়।
ওয়ান্ডার বিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক প্রফেসর ডেভিড বেনট্রাও জানিয়েছেন, এমন ঘটনা একজন মানুষ তার জীবনকালে একবারই দেখার সুযোগ পান।
আজ যখন বৃহস্পতি শনিকে অতিক্রম করবে তখন পৃথিবী থেকে দুটি গ্রহের দূরত্ব হবে ন্যূনতম। সুতরাং তাদের ঔজ্জ্বল্য হবে সব থেকে বেশি। ঠিক এই ধরনের ঘটনা এর আগে ঘটেছিল ১৬২৩ সালের ১৬ জুলাই। কিন্তু তখন পৃথিবীর আকাশে দুটি গ্রহের আপাত অবস্থান ছিল সূর্যের খুব কাছে। তাই তা অনেকেই দেখতে পাননি। শনি ও বৃহস্পতির সাথে পৃথিবী যদি পুরোপুরি একই সরল রেখায় অবস্থান না করে তাহলে শনি বৃহস্পতির পেছনে পুরোপুরি ঢাকা পড়ে না। এবারেও তা হবে না। বরং, শনি ও বৃহস্পতিকে ঠিক গায়ে গায়ে লেগে থাকতে দেখা যাবে। এমনটি শেষবার মানুষ দেখেছিল ১২২৬ সালের ৫ মার্চে।