ঢাকা, শনিবার ২৩, নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩২:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শীতে কাবু উত্তরের মানুষ, সহায়তা অপ্রতুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে কমা অব্যাহত আছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদের মানুষ। এরই মধ্যে মাঝারি পর্যায়ের শৈত্যপ্রবাহে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি। এদিকে, পর্যাপ্ত সহায়তা না থাকায় কষ্টে আছেন অসহায় মানুষ ৷ শীতজনিত রোগে ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা ৷ হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা ৷

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, সোমবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক শুন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও সোমবার সকাল থেকে কুয়াশা কম দেখা গেছে দেশের সর্বউত্তরের এই জেলাতে। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পরে চারিদিকে। কিন্তু হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। চারদিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীতের প্রভাবে সাধারণ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সিরাজউদ্দৌলা পলিন বলেন, প্রতি বছর শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার শীতজনিত নানা সমস্যায় রোগী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে অসংখ্য শীতজনিত রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

এদিকে, কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ ৷ উত্তরের কয়েকটি জেলার কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন নিদারুণ শীত কষ্টে ৷ অসহায় জীবন যাপন করছেন খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষজন ৷ শীত বস্ত্রের অভাবে ভোগান্তিতে রয়েছেন বহু মানুষ ৷

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, সরকারিভাবে জেলার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে ৷ এছাড়া জেলার নয় উপজেলায় গরম কাপড় কিনে বিতরণের জন্য ছয় লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৷

তবে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব বলেন, এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৪৫০ পিস কম্বল পাওয়া গেছে ৷ আমার ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার রয়েছে ৷ এদের অধিকাংশ চরাঞ্চলের মানুষ ৷ এদের অধিকাংশ হতদরিদ্র ৷ আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি তালিকাও করেছি ৷ কিন্তু সরকারি বা বেসরকারি কোন ধরনের সহায়তা না আসায় মানুষগুলো খুব কষ্টে দিন পার করছেন ৷

-জেডসি