ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৭:২৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারে বাধাদানকারীরাই বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০১:১৭ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৫৯ এএম, ৪ অক্টোবর ২০১৭ বুধবার

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি (ফাইল ছবি)

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি (ফাইল ছবি)

যারা এক সময় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে কালো আইন করেছিল, তারাই এখন বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে সকল বাধা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছেন। খুব শিগগিরই বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে এনে বিচার কার্যকর করা হবে।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে এক দোয়া ও আলোচনায় এ কথা বলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এ দোয়া ও আলোচনার আয়োজন করে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটি’ ও ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামের দুটি সংগঠন।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পোষণ করেছে। তারাই খুনিদের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বসার সুযোগ করে দিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে কালো আইন করেছিল। তাদের মুখোশ আস্তে আস্তে উন্মেচিত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল তার ভেবেছিল যে তাদের গায়ে কোনো প্রকার আঁচ লাগানো যাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তাদের বিচার করেছেন। চাইলে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে সাধারণ মানুষের মতোই নিয়মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। বিদেশে যারা পালিয়ে আছেন তাদেরও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই দেশে ফিরে আনার চেষ্টা করছেন।’

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। মনে হচ্ছে সেই মামলা বিলম্ব হচ্ছে, কিন্তু না। মামলার প্রক্রিয়া নিয়মের ভিতর দিয়েই এগোচ্ছে। যারা জড়িত ছিল, তাদের মুখোশ জনসাধারণের সামনে উন্মোচিত হবে।’

প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মানবতার নেত্রী’ উল্লেখ করে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘‍যেখানে ভারত চীন রাশিয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়নি, সেখানে মানবতার নেত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষ মানুষের জন্য এবং জাতিসংঘে এই রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরায় এখন বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রই রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।’

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটির সভাপতি হারুণ অর রশিদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেলিনা ইসলাম প্রমুখ।