পৌরসভা নির্বাচন: আওয়ামী লীগ ৪৬, বিএনপি ৪, অন্যান্য ৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৫৬ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার
ছবি: সংগৃহীত
দ্বিতীয় ধাপে শনিবার ভোট হওয়া ৬০টি পৌরসভাগুলোতে মেয়র পদে ২২১ প্রার্থী লড়াই করেন। প্রথম ধাপের মতো এবারেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৬ জন, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৪ জন, জাসদ ও জাপার ১ জন করে এবং ৮ স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পাঁচজন এবং বিএনপির একজন নির্বাচিত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ফল স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে চার পৌরসভার মেয়র বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার ৬০টি পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় দফার ভোট। সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ধাপে শনিবার ৬১ পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে ইসি।
এ ছাড়া পাবনার সুজানগরে আজ ভোট হওয়ার কথা থাকলেও রিটের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ভোটের দিন দেওয়া হয়েছে ৩০ জানুয়ারি। অন্যদিকে প্রথম ধাপে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় তখন ভোট স্থগিত করা হয়। সেই ভোট হলো দ্বিতীয় ধাপে।
নলডাঙ্গা : নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগপ্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির ৩ হাজার ৬৩০ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আব্বাছ আলী নান্নু ১ হাজার ৯১০ ভোট পেয়েছেন।
গোলাপপুর : নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগপ্রার্থী রোকসানা মোর্ত্তজা লিপি ৬ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম বিমল পেয়েছেন ৫ হাজার ৭ ভোট।
গুরুদাসপুর: নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে শাহনেওয়াজ আলী ৭ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লব পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৫ ভোট।
মোংলা পোর্ট : মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ আবদুর রহমান ১১ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির জুলফিকার আলী পেয়েছেন ৫৮২ ভোট।
দাগনভূঞা : দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ৮ হাজার ২৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. ওমর ফারুক খান। তার নিকটতম ধানের শীষ প্রতীকের সাইফুর রহমান স্বপন পেয়েছেন ৯৩৯ ভোট।
গাংনী: গাংনী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ৯ হাজার ৪৬৭ ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আহম্মেদ আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫১ ভোট।
বসুরহাট : বহুল আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। কাদের মির্জা পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৭৭৮ ভোট।
চান্দিনা: কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী মো. শওকত হোসেন ভূইয়া ১০ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ ভোট।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগপ্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী ৯ হাজার ৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। দলটির বিদ্রোহীপ্রার্থী মো. রফিকুল আলম ৮ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন।
শৈলকুপা : ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজম ১০৮৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী তৈয়বুর রহমান খান পেয়েছেন ৭২৮১ ভোট।
আড়ানী : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভায় ৫৯০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শহীদুজ্জামান পেয়েছেন ৪৩১৯ ভোট।
নজিপুর: নওগাঁর নজিরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল কবির চৌধুরী ৭ হাজার ৬৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ১৪৯ ভোট।
ভবানীগঞ্জ : ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ৭৩৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগপ্রার্থী আব্দুল মালেক মণ্ডল। তার নিকটতম বিদ্রোহী প্রার্থী মামুনুর রশীদ পেয়েছেন ২৬৯৯ ভোট।
কাঁকনহাট : রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগপ্রার্থী একেএম আতাউর রহমান খান ৫৫৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপিপ্রার্থী হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৫১২২ ভোট।
কমলগঞ্জ : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভায় ৫ হাজার ২৫৭টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগপ্রার্থী জুয়েল আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী আওয়ামী লীগপ্রার্থী মো. হেলাল মিয়া পেয়েছেন ২ হাজার ৮০৬ ভোট।
সারিয়াকান্দি : বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগপ্রার্থী ৬ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী আলমগীর শাহী সুমন পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৬ ভোট।
সান্তাহার : বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভায় ৭ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ভুট্ট। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মন্টু পেয়েছেন ৭ হাজার ৪০২ ভোট।
শেরপুর : বগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহীপ্রার্থী জানে আলম খোকা ৯ হাজার ২৬২ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুস ছাত্তার পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯ ভোট।
মনোহরদী : নরসিংদীর মনোহরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগপ্রার্থী আমিনুর রশিদ সুজন নৌকা প্রতীকে ৮৮৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপ্রার্থী মো. মাহমুদুল হক পেয়েছেন ৫৮৫ ভোট।
বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভায় আওয়ামী লীগপ্রার্থী সেলিম রেজা লিপন ৯ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী লিটন মৃধা পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৮ ভোট ।
ফরিদপুর : পাবনার ফরিদপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী খ.ম কামরুজ্জামান মাজেদ নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপ্রার্থী এনামুল হক ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১২ ভোট।
সাঁথিয়া : পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুল আলম বাচ্চু নৌকা প্রতীকে ১৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মল্লিক পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০ ভোট।
ঈশ্বরদী : পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ইসাহাক আলী মালিথা ২৮ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রফিকুল ইসলাম নয়ন পেয়েছেন ২ হাজার ১৮৫ ভোট।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগপ্রার্থী আনোয়ার আলী ৬৬ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী বশিরুল আলম চাঁদ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬১৩ ভোট।
মিরপুর : কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগপ্রার্থী হাজী এনামুল হক ১০ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫১৫ ভোট।
ভেড়ামারা : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভায় জাসদের প্রার্থী আনোয়ারুল কবির টুটুল ৮ হাজার ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপ্রার্থী শামীমুল ইসলাম ছানা পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০১ ভোট।
কুমারখালী : কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় আওয়ামী লীগপ্রার্থী শামসুজ্জামান অরুন ১০ হাজার ১১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপ্রার্থী আনিসুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৩০৮ ভোট।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগপ্রার্থী নাদের বখত ২১,৬৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপ্রার্থী মুর্শেদ আলম পেয়েছেন ৫,৮৮৫ ভোট।
ছাতক : সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরী ১২,৮২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রাশিদা আহমদ ন্যান্সি পেয়েছেন ৭,৯০৮ ভোট।
জগন্নাথপুর : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভায় চামচ প্রতীকে ৮,৩৭৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া ৮,০১৮ ভোট পেয়েছেন।
মোহনগঞ্জ : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভায় ৯৪২৫ ভোট পেয়ে আ.লীগপ্রার্থী লতিফুর রহমান রতন বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (আ.লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী তাহমিনা পারভীন বীথি পেয়েছেন ৪৩৮৪ ভোট।
কেন্দুয়া : নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভায় ৯১৭৬ ভোট পেয়ে আ.লীগ প্রার্থী আসাদুল হক ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ২২৫৬ ভোট পেয়েছেন।
মাগুরা : মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগপ্রার্থী খুরশীদ হায়দার টুটুল ৩৯ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপ্রার্থী ইকবাল আখতার খান কাফুর পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৩ ভোট।
দিনাজপুর : দিনাজপুর পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ৪৪ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রাশেদ পারভেজ পেয়েছেন ২৪ হাজার ২২৬ ভোট।
বীরগঞ্জ : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন ৩ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপ্রার্থী নুর ইসলাম নুর ৩ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েছেন।
বিরামপুর : বিরামপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে আক্কাস আলী ১৫ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নারিকেল গাছ মার্কায় নুরুজ্জামান সরকার পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৮৬ ভোট।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়র পদে ১২ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী মো. মতলুবর রহমান (নারিকেল গাছ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপ্রার্থী শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০১ ভোট।
সুন্দরগঞ্জ : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় ২ হাজার ৭০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আবদুর রশিদ রেজা সরকার (লাঙ্গল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন নৌকা। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫৫৮ ভোট।
নাগেশ্বরী : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
রায়গঞ্জ : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল পাঠান। তিনি পেয়েছেন ৮ হাজার ৯২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৭৫ ভোট।
উল্লাপাড়া : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম নজরুল ইসলাম ২৪ হাজার ৫০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. আজাদ হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৩ ভোট।
কাজীপুর : সিরাজগঞ্জের কাজীপুর পৌরসভায় মো. আবদুল হান্নান তালুকদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
বেলকুচি : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভায় ১৮ হাজার ৩৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাজ্জাদুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বেগম আশানুর বিশ্বাস পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৪ ভোট। সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান মেয়র সৈয়দ আবদুর রউফ জয়ী হয়েছেন।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী পারভেজ রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ২১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী তানভির আহমেদ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৬ ভোট।
সন্দ্বীপ : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোক্তাদের মাওলা ১৭ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী আবুল বশার পেয়েছেন ৭১১ ভোট।
লামা: বান্দরবানের লামা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ৯ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ১ হাজার ৬২ ভোট পেয়েছেন।
মাধবপুর : হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভায় ৫ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী পংকজ কুমার সাহা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৫ ভোট।
নবীগঞ্জ : নবীগঞ্জ পৌরসভার বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৫ ভোট। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও ফুলবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
মুক্তাগাছা : মুক্তাগাছায় বিল্লাল হোসেন সরকার পেয়েছেন ১৭ হাজার ৩২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ২২৬ ভোট।
ফুলবাড়িয়া: ফুলবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া ৫ হাজার ৬৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৪ হাজার ৪২৬ ভোট।
ধনবাড়ী : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল ৮৯৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাভার : সাভার পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল গনি ৫৬ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী রেফাত উল্লাহ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩০ ভোট।
দেশে পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় গত ২৮ ডিসেম্বর। তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ও চতুর্থ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।
প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভার মধ্যে ১৯টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ৩টিতে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হন। বাকি দুটিতে জয় পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা।
-জেডসি