ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ১:৩৩:৫০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভার্জিনিয়া উলফ: হাইড পার্ক থেকে পৃথিবীর পথে, জন্মদিনে শুভেচ্ছা

অনু সরকার

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

অ্যাডেলাইন ভার্জিনিয়া উলফ। স্বনামধন্য ইংলিশ কবি ও সাহিত্যিক। তিনি ভার্জিনিয়া উলফ নামেই পরিচিত। উনিশ শতকের ব্রিটিশ আধুনিকতাবাদী লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়কালে তিনি লন্ডন লিটারেসি সোসাইটি’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য রচনা হল, মিসেস ডাল্লাওয়ে (১৯২৫), টু দ্যা লাইটহাউজ (১৯২৭), ওরলান্ডো (১৯২৮)। তার রচিত ভাষন সংকলন ‘এ রুম ওয়ান’স ওন’ (১৯২৯)। মূলত ১৯২৮ সালে কেমব্রিজ বিশ্বদ্যালয়ে দেয়া দুটি লেকচারের সংকলন এটি। এখানেই তিনি তার বিখ্যাত উক্তিটি করেছিলেন- ‘নারী যখন ফিকশন লেখে তখন তার একটি কক্ষ আর কিছু অর্থ খুব প্রয়োজন।’

শিল্পে, সাহিত্যে, উপন্যাসে কেন নারীরা পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে? এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে তিনি দেখিয়েছেন নারীর অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকার কথা। সেই সাথে তাদের নিজের একটা ঘরও নেই। সৃজনশীলতার জন্য যা খুব প্রয়োজন বলে তিনি উপলব্ধি করেন।

তিনি বলেছেন, ‘যদি নিজস্ব একটা ঘর আর ৫০০ পাউন্ডের নিশ্চয়তা দেয়া হয়, নারীরাও অনেক উন্নতমানের সাহিত্য উপহার দিতে পারবে। জেইন অস্টেন থেকে ব্রন্টি ভগ্নিদ্বয়, জর্জ এলিয়ট ও মেরি কারমাইকেল পর্যন্ত সব লেখিকাই অনেক প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও শেকসপীয়রের স্তরে উন্নীত হতে পারছে না আর্থিকভাবে সমর্থ না থাকায়। আর তাই নারীকে নির্ভর করতে হয় পুরুষের ওপর। আর নারীদের নিচে ফেলে না রাখলে পুরুষরা বড় হবে কি করে- এই মনোভাব বজায় রাখলে নারীদের মুক্তি মিলবে কিভাবে?’- সেই সময় এই প্রশ্ন সমাজের কাছে ছুঁড়ে দেন ভার্জিনিয়া।

১৮৮২ সালের ২৫ জানুয়ারি লন্ডনের দক্ষিন কেনসিংটনে ২২ হাইড পার্কের একটি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন লেখক ভার্জিনিয়া উলফ। তার প্রকৃত নাম অ্যাডেলাইন ভার্জিনিয়া স্টিফেন। বিয়ের পর তিনি স্বামীর উলফ পদবীটি নিজের নামের সাথে জুড়ে দেন।

কিশোরী বয়স থেকেই ভার্জিনিয়া উলফ ডিপোলার ডিজঅর্ডার নামক এক‌টি মানসিক রো‌গে ভু‌গে‌ছি‌লেন। বলা হয়ে থাকে এ কারণেই তিনি ১৯৪১ সালে ৫৯ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন। শৈশবে সৎ ভাইদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন সাহিত্যিক উলফ। তার বিভিন্ন লেখনীতে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন তিনি। মায়ের মৃত্যুর পর প্রথমবারের মত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ভার্জিনিয়া। আর সেই অসুস্থতা থেকে বের হতে পারেননি। মুড সুইং থেকে শুরু করে মানসিকতা উৎকন্ঠা আর বিষাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায় ১৯০৪ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর। মানসিক অবসাদের কারণে তার সামাজিক জীবন বিপর্যস্ত হলেও লেখালেখির তেমন কোন সমস্যা ঘটায়নি। বরং অসুস্থতার জন্য নিয়মিত বিরতি দিয়ে লেখালেখি চালিয়ে গেছেন তিনি। ১৯১০, ১৯১২, ১৯১৩ সাল পর্যন্ত তাকে তিনবার স্বল্প সময়ের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। আধুনিক মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। মানসিক আঘাতের পাশাপাশি তার অবস্থাটা কিছুটা জেনেটিকও ছিল। তার বাবা লেসলি স্টিফেনও অবসাদে ভুগতেন। তার সৎ বোন লোরাও একই সমস্যায় ভুগতেন এবং অনেকদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এই লেখকের বাবা স্যার লেসলি ছিলেন একজন স্বনামধন্য ইতিহাসবিদ, লেখক, সমালোচক এবং পর্ব্বত আরোহী। বাবা স্যার লেসলি স্টিফেন আর মা জুলিয়া স্টিফেন দুজনেই ছিলেন  লন্ডনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব। দুজনেই ছিলেন লেখক। লেসলি ছিলেন ডিকশনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফির সম্পাদক। জুলিয়া তার নার্সিং পেশা সংক্রান্ত বই লিখেছেন। ভার্জিনিয়া আর তার বোন ভেনেসার প্রথম শিক্ষা তাদের বাড়িতেই, তাদের বাবার বিশাল লাইব্রেরি ছিল তাদের প্রথম স্কুল।  তারপরে তারা দুজনেই লন্ডনের কিংস কলেজে ভর্তি হন।  

বাবার লেখালেখি ভার্জিনিয়াকে সাহিত্যিক হতে উৎসাহ যুগিয়েছিল। ভার্জিনিয়ার বাবা-মা দুইজনই আগে একাধিকবার বিয়ে করেছিলেন। ফলে ছোটবেলায় ভার্জিনিয়া উলফ তার বেশ কয়েকজন সৎ ভাই-বোনের সাথে একই পরিবারে বসবাস করতেন।

ভার্জিনিয়ার লেখা থেকে জানা যায়, একটি সুন্দর-নিরিবিলি আর অনেক জানালা ঘেরা রুমে তারা পড়তেন। শান্ত নিরিবিলি ঐ পরিবেশ পড়াশুনা আর ছবি আঁকার জন্য ছিল একদম সুবিধাজনক। ভার্জিনিয়ার মা জুলিয়া তাদের ইতিহাস, ফ্রেঞ্চ এবং ল্যাটিন পড়াতেন। বাবা লেসলি শেখাতেন গণিত। লেসলির ছিল বইয়ের বিশাল সম্ভারে ভরপুর লাইব্রেরি। সেই লাইব্রেরির বইয়ের মাধ্যমে বাবার সাথে এক সমধুর হৃদ্যতা গড়ে উঠে ভার্জিনিয়ার। যদিও সেসময় মেয়েদের স্কুলে গিয়ে বিদ্যাশিক্ষার তেমন প্রচলন ছিল না, কিন্তু লেখালেখির বিষয়টিকে পারিবারিকভাবেই বেশ উৎসাহ দেয়া হতো। তাই দশম জন্মদিনে ভার্জিনিয়াকে একটি কালির দোয়াত, কলমের স্ট্যান্ড এবং বেশ কিছু লেখালেখির সামগ্রী উপহার হিসেবে দেয়া হয়েছিল। ভার্জিনিয়ার বয়স যখন মাত্র ১৩ বছর, ১৮৯৫ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে তার মা মারা যান।

১৫ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশুনার সুযোগ পান ভার্জিনিয়া। ১৮৯৯ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত লন্ডনের কিং কলেজের নারী বিভাগে তিনি প্রাচীন গ্রীক, ল্যাটিন, জার্মান ও ইংরেজি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন। এসময় তার বোন ভেনেসাও ঐ বিভাগে যোগ দেন।

১৮৯৭ সালে ভার্জিনিয়ার মা মারা যান। হঠাৎ মায়ের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ভার্জিনিয়া। ১৯০২ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তার বাবা লেসলি স্টিফান। একটি অপারেশনও করা হয় তার। কিন্তু তিনি আর সুস্থ হননি। ১৯০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন স্টিফান। বাবার মৃত্যুর পর আবারো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ভার্জিনিয়া। মায়ের পর বাবার মৃত্যু- ১৮৯৭ থেকে ১৯০৪ সালকে ভার্জিনিয়া দুঃখের সাত বছর হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

পেশা হিসাবে উলফ লেখালেখি শুরু করেন ১৯০০ সালে। টাইমস লিটারারি সাপ্লিমেন্ট এ তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ভয়েজ আউট’ প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। এই উপন্যাস প্রকাশিত হয় তার সৎ ভাইয়ের কোম্পানি গেরাল্ড ডাকওয়ার্থ অ্যান্ড কোম্পানি লিঃ থেকে। তার বেশিরভাগ লেখার প্রকাশক তিনি নিজেই। প্রকাশিত হয়েছিল হগার্থ প্রেস থেকে।

স্নাতকস্তরের পাঠশেষ করবার পর ভার্জিনিয়া সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন। ব্লুমসবার্গ গ্রূপ জনপ্রিয় ছিল তার শিল্পী, বুদ্ধিজীবী আর সাহিত্যিকদের জন্য। ভার্জিনিয়া সেই গ্রুপে যোগদান করেন।
এখানেই তার সঙ্গে প্রবন্ধকার লিওনার্ড উলফ এর আলাপ। সাহিত্যনুরাগী লিওনার্ড উলফ ছিলেন ভার্জিনিয়ার ভাই থোবির বন্ধু। তারা দুজনে একসঙ্গে কেমব্রিজে পড়াশুনা করতেন। এসময় তারা অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে একটি রিডিং গ্রুপ তৈরি করেছিলেন যার নাম ছিল মিডনাইট সোসাইটি। ভার্জিনিয়া ও লিওনার্ড দুজন দুজনার সম্পর্কে অবগত থাকলেও ১৯০৪ সালের আগ পর্যন্ত কেউ কখনো কারো সাথে কথা বলেননি। ১৯১২ সালের ১১ জানুয়ারি লিওনার্ড উলফ ভার্জিনিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সে বছরই ১০ আগস্ট তারা বিয়ে করেন। এসময় ভার্জিনিয়ার মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবগত ছিলেন লিওনার্ড। আর্থিকভাবে খুব স্বচ্ছল না হলেও ভার্জিনিয়া-লিওনার্ডের ভালোবাসার বন্ধন ছিল অটুট।

তারা পরবর্তীকালে একটা প্রিন্টিং প্রেস কেনেন-হোগার্থ প্রেস। আর সেই প্রেস থেকেই প্রকাশিত হতে থাকে সিগমুন্ড ফ্রয়েড আর টি.এস এলিয়ট এর সমস্ত লেখা। ভার্জিনিয়ার লেখাও এইসময় প্রকাশিত হতে থাকে। তার প্রথম উপন্যাস  প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে, 'দ্য ভয়েজ আউট'। কিন্তু তখনও ভার্জিনিয়ার সাহিত্যসৃষ্টি জনপ্রিয়তার নিরিখে পিছিয়েই ছিল। কিন্তু ১৯২৫ সালে প্রকাশিত চতুর্থ নভেল 'মিসেস ডলওয়ে' প্রবল জনপ্রিয় হয়। এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা, নারীবাদ, মানসিক সমস্যা এবং সমকামিতা।

এই সফলতার পর থেকে ভার্জিনিয়া আরো বেশি করে নিজের লেখা প্রকাশ করতে থাকেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যন্য সাধারণ উপন্যাস সেগুলি, এবং আস্তে আস্তে তা জনপ্রিয়তাও  লাভ করতে থাকে। 'টু দি লাইটহাউস' এবং 'অরল্যান্ডো'  এর মধ্যে অন্যতম। নারীশক্তির উত্থান নিয়ে লেখা, যদিও সেই প্রবন্ধ অনেক বেশি খ্যাত নারীবাদী লেখা হিসেবে- 'এ রুমস অফ ওয়ান'স ওন' এবং 'থ্রী গিনিস' উল্লেখযোগ্য। এই সমস্ত লেখাই সাহিত্য-সমালোচকদের সম্ভ্রম আদায় করে নিয়েছিল। এসব সৃষ্টি ভার্জিনিয়াকে দিয়েছিল এক বিশিষ্ট সাহিত্যিকের আসন। ছক ভাঙা চিন্তাভাবনা এবং গভীরতর লেখনশৈলীই  ভার্জিনিয়াকে সবার থেকে করেছিল আলাদা, দিয়েছিল বিশিষ্টতার আসন।
উলফ তার লেখায় চরিত্রগুলির মনস্তাত্ত্বিক ও আবেগের বিষয়গুলি নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন।

ভার্জিনিয়া উলফের শেষ উপন্যাস ‘বিটউইন দ্যা অ্যাক্টস’ লেখা শেষ করার পর তিনি বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার লন্ডনের বাড়ি ধ্বংস হওয়া এর পিছনে একটি কারণ বলে মনে করা হয়। অবশ্য এর আ‌গেও তিনি বিভিন্ন কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।  ১৯৪১ সালের ২৮ মার্চ উলফ তার ওভারকোটের পকেট ভারি পাথর দিয়ে ভর্তি করে ওউজ নদীতে নেমে যান এবং আত্মহত্যা করেন। ১৮ এপ্রিল নদীতে তার দেহাংশ পাওয়া যায়।

পরে তার স্বামী লিওনেল সেই দেহাবশেষ সাসেক্সের মংক হাউজের একটি এলম গাছের নিচে সমাহিত করেন।

শেষ বিদায়ের আগে প্রিয়তম স্বামীর উদ্দেশে একটি মর্মস্পর্শী চিঠি লিখে যান ভার্জিনিয়া। চিঠিটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পড়া সুইসাইড নোটগুলোর একটি। অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এই চিঠিটি এখনও সাহিত্যপ্রেমী তথা ভার্জিনিয়া উলফের ভক্তদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। চিঠিতে ভার্জিনিয়া লিখেন-

‘প্রিয়তম, আমি নিশ্চিত, আবার পাগল হয়ে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে, দ্বিতীয়বারের মতো আর ভয়াবহ সময় পার করতে পারব না। এবার আর সেরে উঠব না বোধ হয়। সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত কাজটিই আমি করতে যাচ্ছি। তুমি আমায় সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুখ দিয়েছ। যেকোনো মানুষের পক্ষে যতটা করা সম্ভব তুমি সব দিক থেকে ততটাই করেছ। আমার এই ভয়াবহ অসুখের আগে পর্যন্ত আমরা যেমন সুখি ছিলাম, তেমন সুখি হয়তো দুজন মানুষের পক্ষে আর হওয়া সম্ভব নয়। আমি এই অসুখের সঙ্গে যুদ্ধ করতে আর পারছি না। আমি জানি, তোমার জীবনটাও আমি শেষ করে দিচ্ছি। জীবনে তোমাকে কখনো অধৈর্য হতে দেখিনি। তোমাকে পেয়েছি অবিশ্বাস্য রকমের সুবোধ স্বামী হিসেবে। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমি যা বলছি প্রত্যেকেই জানে। আমার এই ভয়াবহ অসুখের আক্রমণ থেকে কেউ বাঁচাতে পারলে সে শুধু তুমিই পারতে। আমার অধিকার থেকে সব কিছুই চলে গেছে- রয়ে গেছে তোমার ভালোবাসা। আবারো বলছি, দুজন মানুষ একসঙ্গে সুখি হতে পারে, তোমাকে না পেলে জানতাম না’।

কিন্তু এই চিঠি প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম একে নিজের মত করে ব্যখ্যা করতে শুরু করে। ভীরুতা ও ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির ধোঁয়া তুলে অনেকেই এ ঘটনার সহমর্মীদের সমালোচনা করেন। পরবর্তীতে ভার্জিনিয়ার বিখ্যাত বন্ধুরা যেমন টি এস এলিয়ট, এডিথ সিটওয়েল, এলিজাবেথ বোওয়েন প্রমুখ এই সব ভুল ব্যখ্যা সম্বলিত সংবাদ পরিবেশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কলম ধরেন।

অনু সরকার: সাহিত্যিক ও কলামিস্ট।