দেশের ‘মা সংসদ’ পেলো ওয়াটার চেঞ্জমেকার অ্যাওয়াড
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৪৫ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

দেশের ‘মা সংসদ’ পেলো ওয়াটার চেঞ্জমেকার অ্যাওয়াড
‘মাদারস পার্লামেন্ট’ নামে বাংলাদেশের একটি কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পানি নেটওয়ার্ক- গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশিপ (জিডব্লিউপি) এর 'পিপল চয়েস' ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে ‘ওয়াটার চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ পেয়েছে।
নেদারল্যান্ডসে দুই দিনব্যাপি আয়োজিত গ্লোবাল ইভেন্ট ‘জলবায়ু অ্যাকশন সামিট-২০২১’ এ গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় অংশীদারদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ওই সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন।
গ্লোবাল ওয়াটার পার্টনারশিপ- জিডব্লিউপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ৩৫০টি চেঞ্জমেকার কার্যক্রমের আবেদনের মধ্যে একটি ছিল মাদারস পার্লামেন্টে কার্যক্রম। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ‘হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশন’ এর পার্টনারশীপ সহায়তায় কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা ‘ডরপ’ এর ‘মাদারস পার্লামেন্ট’ কার্যক্রম। মাদারস পার্লামেন্টের সদস্যরা তাদের এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিরসনে কাজ করছেন। জুড়ি বোর্ডের যাচাই-বাছাই করে এমন ১৩৯টি উদ্যোগকে যোগ্য ঘোষণা করে। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল বাংলাদেশও। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় রাউন্ডে ৭৮টি ইন্সপাইরিং সেমি-ফাইনালিস্ট তালিকাতেও জায়গা করে নেয় ‘মাদারস পার্লামেন্ট’ কার্যক্রমটি। শেষ ধাপে অক্টোবরে জুরি বোর্ডের মূল্যায়নে ১২ ফাইনালিস্টের অনার্স বোর্ড ঘোষণা করে। এই উদ্যোগে অনলাইন ভোটে ‘মাদারস পার্লামেন্ট’ কার্যক্রমটি ‘পিপলস চয়েজ’ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়।
‘মাদারস পার্লামেন্ট’ পরিচালনাকারি বেসরকারি সংগঠন ‘ডরপ’ এর গবেষণা পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান বলেন, তৃৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের পানির অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে ‘মা সংসদ’ কার্যক্রম। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্ব দরবারে ‘মা সংসদ’ কার্যক্রমের স্বীকৃতি এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে বলে আমার বিশ্বাস।’