আগামীর কবিতাগুলো
রুনা লেইস
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৯:৪৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:১৩ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৭ সোমবার
আমাদের দিনগুলো ছিল রাতের মত
আর রাতগুলো ছিল দিনের মত উজ্জ্বল,
এ নিয়ে আমাদের তেমন কোন উৎকন্ঠা ছিল না,
ছিল না কোনো ভাবনাও
আমরা যা ভাবতাম, তা ছিল আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
আমাদের হতাশা ছিল অতীতের ব্যর্থতা
আর পরাজয় নিয়ে,
অথচ বর্তমানকে আমরা খুব নিশ্চিন্ত রেখে চলছিলাম, অনেকটাই শান্তি ও স্বস্তির সুবর্ণ পালঙ্কে
ঘুমিয়ে থাকা নবজাতকের মতন সযতনে।
কারণ আমাদের পূর্বপুরুষগণ নিজেদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আমাদের জন্য এইসব স্বাধীনতা আর বিজয়
অর্জন করেছিলেন অনেকদিন আগে
এবং সংগোপন রেখেছিলেন আমাদের কাছেই পূর্বনির্ধারিত সকল আগামীর দিকচিহ্নগুলোকে।
আসলে তারা আমাদের ভবিষ্যৎ রচনাকালে জানতেন একদিন আমরা সবরকম
পরাধীনতা ও বশ্যতা অস্বীকার করে
পরিপূর্ন স্বাধীনতা আর বিজয়ের স্বাদ নেব,
ছুঁয়ে দেব সুখ সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ সোপান ছাড়িয়ে
স্বপ্নের আকাঙ্খিত চূড়ো
তারা আরো জানতেন
সব স্বপ্ন আর ইচ্ছেরা আমাদের বুকের ভেতর
বেড়াতে গেলেই সুখময় পরিপূর্ণতা হয়ে ফিরে আসবে
আসলে এতোকিছু বুঝবার জন্য
আমরা কখনো তৈরী ছিলাম না,
এতো কিছু অনুধাবনের জন্য যে পর্যাপ্ত অবকাশ ও সময় যাপনের কথা ছিল
সেটা আমাদেরকে দিতেই চাইছিল না সময়।
তারপরও একসময় আমরা
আমাদের ক্ষমতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অবগত হলাম
আমাদের ঐতিহ্য ও প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার সম্বন্ধে
সচেতনতা লাভ করলাম
এবং আমরা আমাদের ইচ্ছে ও স্বপ্নসমূহকে
অতি আদরে অামাদের হৃৎপিন্ডের সন্নিকটে
বক্ষস্থলে স্থাপিত করলাম
এবং চমৎকার ভাবে সেখানে
আস্থার জন্ম হলো এবং
তাকে আমরা পরিপূর্ণতায় উপলব্ধি করলাম।
এক জীবনে এটাও তো কম নয়,
কারণ পূর্ববর্তী দিকনির্দেশক যারা ছিলেন
তারাও জেনেছিলেন
আগামীর সন্তানেরাই একদিন
তাদের স্বপ্ন ও ইচ্ছেসমূহের
অধিকর্তা ও কর্মসম্পাদনকারী হয়ে আবির্ভুত হবে
তাই তারা তাদের নিজেদের সকল
স্বাধীনতা ও জয়ের কবিতাগুলোকে সন্মুখবর্তী
এবং দৃঢ় ও শানিত করে উপস্থাপন করেছিলেন।
আমরা কি করে ভুলে যাবো
আমাদের আগামীর জন্যও
প্রতিটি কবিতার পঙক্তিগুলো এমন
সুদৃঢ় ও সুদীর্ঘকাল স্থিতিশীল করেই
জন্ম দেওয়া উচিৎ।