পাহাড়ের ঝিড়িতে মাছ ও শামুক সংগ্রহে ব্যস্ত নারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ২১ মে ২০২১ শুক্রবার
পাহাড়ের ঝিড়িতে মাছ ও শামুক সংগ্রহে ব্যস্ত নারীরা
পাহাড়ের চারপাশে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে আছে অসংখ্য ঝিড়ি। তবে শুকিয়ে যাওয়া ঝিড়ির সংখ্যাও কম নয়। জীবিত ঝিড়িগুলোতে জমে থাকা পানিতে মাছ আর শামুক ধরতে প্রতিদিনই দল বেঁধে নেমে পড়ছেন বিভিন্ন বয়সী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষ।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাথরের খাদে-খাদে লুকিয়ে থাকা মাছ আর শামুক খোঁজায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। মাছ ধরার যন্ত্র হিসেবে কেউ ব্যবহার করছেন ছোট মশারি, বেতের তৈরি জাল যাকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ভাষায় য়াক শে (মারমা ভাষা) বা লুই (চাকমা ভাষা) বলে। কারোর বেতের তৈরি জালে উঠছে বেশি সংখ্যক কালো শামুক আবার কারোর ছোট মাছ। কিন্তু ঝিড়িতে পানি না থাকায় আগের মত মাছ আর শামুক পাওয়া যায় না। বড় মাছ নেই বললেই চলে।
মাছ ধরতে আসা লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ক্লংথুন বম জানান, বর্ষাকালে পানি বেশি হওয়ায় মাছ ধরা সম্ভব হয় না। এখন পানি কম । ছোট-ছোট মাছ ধরতে আসছি। মাছের সাথে শামুকও পাচ্ছি।
ফারুক পাড়ার আরেক বাসিন্দা জুম তং বম নামে আরেকজন জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন ঝিড়িতে গেছি। ছোট বড় মিলে আধা কেজির মাছ পেয়েছি। আগের মত মাছ নাই ।
চিম্বুক পাড়ার গ্যাৎসামনি পাড়ার ভানরাম বম জানান, সকাল থেকে আসছি। বড়-বড় মাছ আগের মত ঝিড়িতে পাওয়া যায় না। ছোট ছোট মাছ পাওয়া যায়। সবজি দিয়ে ছোট-ছোট মাছ খাব।
বান্দরবান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল কুমার সাহা জানান, প্রাকৃতিক জলাশয়ের প্রাচুর্য্য কমে গেছে। মা মাছের আশ্রয়স্থলগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। সারাবছর যেখানে পানি থাকে সেসব জায়গায় আমরা অভয়াশ্রম তৈরি করব। বর্ষার সময় এ মা মাছগুলো ডিম দিবে। মাছ সব সময় বিপরীত মুখী যায়। এই মাছের পোনাগুলো বিভিন্ন ঝিড়িতে ছড়িয় পড়বে। আমরা এগুলো সংরক্ষণ করার জন্য সবাইকে সচেতন করব। আর মাছগুলো রক্ষা করতে পারলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা চাহিদা পূরণ করতে পারবে সেই সাথে পুষ্টি মানও বজায় থাকবে।