‘বিপদমুক্ত’ হলেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ৬ জুন ২০২১ রবিবার
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনি তার বাসায় ফেরা অনিশ্চিত। চিকিৎসকরা বলছেন, ম্যাডামের করোনার যে জটিলতা ছিল, সেইগুলোর উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তার অন্যান্য রোগগুলো আগের মতোই আছে। ফলে আরও কিছুদিন তাকে হাসপাতালেই থাকতে হবে। আগামী কয়েক দিন তাকে পর্যবেক্ষণের পর ‘বিপদমুক্ত’ মনে হলেই হাসপাতাল থেকে ছাড় (রিলিজ) দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এখন তিনি কেবিনে আছেন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেন, তার (খালেদা জিয়ার) কোভিড জটিলতার কিছুটার উন্নতি হয়েছে। এটাকে বড় ধরনের উন্নতি বলা সুযোগ নেই। তাই তাকে এখনি বিপদমুক্ত যাচ্ছে না। ফলে, আমরা তাকে আরও কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেব। মেডিকেল বোর্ডের ১০ জন চিকিৎসকের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। এখানে একজনের পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়া এখনও তরল জাতীয় খাবার খাচ্ছেন জানিয়ে এই চিকিৎসক আরও বলেন, তিনি এমনিতে কম খাবার খান। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাইরে থেকে অর্থাৎ তার আত্মীয়-স্বজনরাই খাবার নিয়ে আসেন। তারা ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার নিয়ে আসেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের বাইরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার ছাড়া অন্য কেউ তাকে দেখতে হাসপাতালে যান না। দলের নেতাদের মধ্যে মহাসচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থার আপডেট জানান। তিনি পরবর্তীতে অন্যদের সেই বিষয়টি অবহিত করেন।
শনিবার (৫ জুন) দলের নিয়মিত স্থায়ী কমিটির শুরুতে ম্যাডামের বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়টি নিয়ে ব্রিফ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বৈঠকে জানান- ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কথাবার্তাও স্বাভাবিকভাবে বলতে পারছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। করোনার কারণে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে ৩ মে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে গত ৩ মে তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
-জেডসি