বেসিসের শিশু প্রোগ্রামিং কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৪:৫১ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৭:২৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৭ রবিবার
বেসিস তার অঙ্গ সংগঠন বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) এর সহায়তায় স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং পরিচিতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিআইটিএমের নিজস্ব ল্যাবে এ প্রশিক্ষণ চলছে। এরই মধ্যে ৭টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
৩ অক্টোবর শুক্রবার ৭ম ব্যাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একদিনের এই প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফা জব্বারের ছেলে বিজয় জব্বার।
সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এতে পূর্ণতা, মোশাইদ ও মারজান নামে তিনজন শিশু সনদপত্র লাভ করে। কর্মশালায় বাংলাদেশ ডিজিটাল এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া খান রিজন এবং শিশু সাহিত্যিক জসিমউদ্দীন জয় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ও আগামীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমরা স্নাতক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানোর কথা ভাবি। কিন্তু ওরা বস্তুত শৈশব থেকেই প্রোগ্রামিং এর ধারণা পেতে পারে। আমরা শিশুদের জন্য সেই ব্যবস্থাটিই করতে চাই। শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখানোর মাধ্যমেই সেটি সূচনা করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে ‘শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং শিক্ষা’ শীর্ষক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। আমরা ২০১৮ সালের শুরুতে এইসব শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি জাতীয় শিশু প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করব।
স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং শেখানোর কার্যক্রমে বাংলাদেশ ডিজিটাল এডুকেশন সোসাইটি (বিডিইএস) ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিআইটিএম এর প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষক সিরাজুল মামুন এবং তাকে সহায়তা করেছেন মায়া শারমিন।
জানা গেছে, এরই মধ্যে ৭টি কর্মশালায় ২৩৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মূলত শিশুদেরকে স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তারা যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারেন সেজন্য এই কর্মশালা।
প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শিশুদের স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং শেখানোর কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেচ্ছাসেবক অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও শুরু করেছে।