দীর্ঘদিন আচার ভালো রাখবেন কীভাবে?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ বুধবার
প্রতীকী ছবি
আচার, ছোট-বড় সকলেরই খুব প্রিয়। এর নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। বর্ষাকালে মৌসুমী ফলের বেশ ছড়াছড়ি। তাই খুব সহজেই এ সময়টাতে দেশি ফলের আচার তৈরি করে থাকেন অনেকেই।
আচারের উৎপত্তি কখন, কীভাবে?
নৃবিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে, প্রধানত খাদ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন থেকেই আচার তৈরির উপায় উদ্ভাবন। আর এটি করেছিলেন প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার বাসিন্দারা। পরবর্তী সময়ে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০ সালে মিসরের রানি ক্লিওপেট্রার যুগে মিসরে ও জুলিয়াস সিজারের সময়ে প্রাচীন রোমে আচারের প্রচলন ছিল। তবে আচার তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুল্ম শুলফা প্রথম ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা থেকে পশ্চিম ইউরোপে যায় নবম শতকে। আর বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রে আচার প্রচলনের কৃতিত্ব ডাচ কৃষকদের। আর এভাবেই একটা সময় দুনিয়াজোড়া ছড়িয়ে পড়ে এর বিস্তৃতি।
বর্তমান সময়ে খাবারে রুচি বাড়াতে সারা বছরের জন্য অনেকেই আচার বানিয়ে থাকেন। কিন্তু পরে বানানো এই আচার দীর্ঘদিন ভালো রাখতে গিয়ে ভাবতে হয় বেশি করে। বিশেষ করে শীতকালে ভালো থাকলেও বর্ষা আসতে না আসতে তা নষ্ট হয়ে যায়।
আসুন, জেনে নিই আচার দীর্ঘদিন ভালো রাখার টিপস
আচার রাখার পাত্রটি ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যেন কোনভাবেই পাত্রে জল লেগে না থাকে।
আচার তৈরি করার পর তা সবসময় কাঁচের পাত্রে রাখুন। কারণ প্লাস্টিকের পাত্র আচার দ্রুত নষ্ট হওয়ার জন্য দায়ী।
যার আচার দীর্ঘদিন ভালো রাখার ইচ্ছে তাহলে বেশি করে তেল দিন। এমন ভাবে তেল দিন যাতে বয়ামে আচারের ওপর তেলের একটা আস্তরণ থাকে। এর সুবিধা হল- তেল বাইরের ব্যাকটেরিয়া বাতাস ঢুকতে দেবে না।
প্রতিদিন নিয়ম করে ১/২ ঘন্টা রোদে দিতে হবে এতে আচার দীর্ঘদিন ভালো রাখা যাবে।
আচার তৈরিতে অবশ্যই পরিমাণমতো লবণের ব্যবহার করতে হবে খুব। লবণ প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করে বিধায় সঠিক পরিমানে লবণ আচারে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে দেয় না।
আচার তৈরির কাজে লোহার খুন্তি ব্যবহার করার চেয়ে কাঠের খুন্তি ব্যবহারই শ্রেয় কারণ, কাঠের খুন্তি আচার সহজে নষ্ট হওয়ার কাজ করে।
যখন আচার খাবেন অবশ্যই একটা শুকনো চামচের সাহায্য নিন। পুরো বয়ামের আচারে হাত লাগাবেন না।