ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৮:১৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মাইক্রোসফটে বাংলাদেশী তরুণের শিশুদের জন্য উদ্যোগ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার

তরুণ সফটওয়্যার প্রকৌশলী মোহাইমেন খান।

তরুণ সফটওয়্যার প্রকৌশলী মোহাইমেন খান।

বাংলাদেশের প্রবাসী তরুণ সফটওয়্যার প্রকৌশলী সারা বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। তিনি সফটওয়্যার ব্যবহার করে এ বিষয়ে একটি পোর্টাল তৈরির কাজ করছেন।
মোহাইমেন খান বর্তমানে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার নগরীতে মাইক্রোসফটের সঙ্গে কাজ করেন। তিনি একটি পোর্টাল তৈরিতে নিয়োজিত রয়েছেন যেখানে পরামর্শদাতারা সাইন আপ করতে এবং শিক্ষার্থী ও শিশুদের বিভিন্ন পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা প্রদানে সহায়তা করতে পারবেন।
বহুপ্রতিভা সম্পন্ন বাংলাদেশী এ তরুণ এছাড়াও বর্তমানে সুবিধাবঞ্চিত দেশগুলোতে শিশুদের জন্য একটি তহবিল সংগ্রহের প্রয়াস চালাচ্ছেন।
ভ্যাঙ্কুভার থেকে ফোনে আলাপকালে মোহাইমেন উল্লেখ করেন, মাইক্রোসফট ম্যাচিং অনুদানের অনুমতি দেয় যখন এই বহুজাতিক প্রযুক্তি কর্পোরেশনের কোন একজন কর্মচারীর প্রদত্ত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ কোন শিশুর প্রয়োজনের সঙ্গে ম্যাচ করে যায়।
তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত সুবিধা বঞ্চিত ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য ১৫০০ ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করেছি এবং একটি নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অর্থ সংগ্রহ করেছি, এ থেকে সমস্ত অনুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে যাবে যারা তাদের টিউশন ফি দিতে অক্ষম।
মোহাইমেন জানান, তিনি স্কুলে থাকাকালীন মাইক্রোসফট, অ্যামাজন এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক অর্জন করার পরে কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি মাইক্রোসফটের সঙ্গে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যুক্তরাষ্টের সিয়াটলে আগস্ট ২০২০ থেকে আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত আমি কাজ করছিলাম। আমি এই আগস্টে পদোন্নতি পেয়েছি আমি আমাকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভারে ডায়নামিক্স ৩৬৫-এ কাজ করার জন্য বদলি করা হয়েছে।
মোহাইমেন জানান, তিনি সব সময় গণিত এবং বিজ্ঞানের চ্যালেঞ্জিং সমস্যাগুলোর সমাধানে আগ্রহী ছিলেন। তিনি গণিতের চ্যালেঞ্জিং সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করেছেন। সেগুলো সমাধানের জন্য চমৎকার উপায় বের করেছেন।  
এসব প্রচেষ্টা ও আগ্রহগুলো অল্প বয়স থেকেই তাকে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার বিষয়ে অনড় করে তোলে। তিনি ও তার পরিবার বাংলাদেশ থেকে টরন্টোতে চলে যায়। এর পর থেকেই কানাডায় তার যাত্রা শুরু হয়।