বজ্রপাত ঠেকাতে আসছে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ রশ্মি!
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:৪৯ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
বজ্রপাত ঠেকাতে আসছে বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ রশ্মি!
বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা একইসাথে আতঙ্কের নামও। বজ্রপাতের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রায়শই মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে রয়েছে বিপদজনক অবস্থানে।
জলবায়ু বিজ্ঞানীদের মতে, ‘বজ্রপাত ভূপৃষ্ঠের যে স্থানে আঘাত করে সেখান থেকে বিদ্যুৎ ভূমির সকল দিকে চলাচল করতে পারে। মোটামুটি তিন কিলোমিটার এলাকা বিদ্যুতায়িত হতে পরে। কেউ যদি বজ্রপাতের লক্ষ্যের কাছাকাছি থাকে, তবে ভূমির বৈদ্যুতিক প্রবাহে তার মৃত্যু হতে পারে। আর যদি বজ্রপাতের সময় ভূমি আর্দ্র থাকে এবং সেখানে যারা থাকবে তাদের মৃত্যু-ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে।’
এদিকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির হিসেব বলছে, প্রতি বছর দুনিয়াজুড়ে বজ্রপাতের প্রায় আড়াই লাখ ঘটনা ঘটে এবং এসব ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি আরো জানাচ্ছে, একজন মানুষের জীবদ্দশায় কমপক্ষে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার বজ্রপাতের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া বজ্রপাতপ্রবণ এলাকাগুলোতে এ সংখ্যা আরও বেশি।
বজ্রপাত নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির এই পরিসংখ্যান যে কারো কাছেই ভয়ংকর শোনাবে। তবে স্বস্তির খবর হল কুড়ি বছরের প্রচেষ্টায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পেরেছেন বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ এক রশ্মি!
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণ রশ্মি আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
গবেষক দলের মতে, ‘লেজার খুব সংকীর্ণ, উচ্চশক্তির আলোর বিম তৈরি করে। এটির প্রয়োগে হীরা কাটা থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে আসছিল। এবার এটি আমাদের বজ্রপাত থেকে রক্ষা করবে। ধারণা হচ্ছে আমাদের উদ্ভাবিত লাইটনিং রডের মাধ্যমে মেঘকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
গবেষক দলটির আরো দাবি, লেজারটি অবশ্য মাটিতে একটি বৃহত্তর এলাকা রক্ষা করতে সাহায্য করবে, যদিও গবেষক দলটি এখনো বলতে পারেননি তা কতটুকু এলাকা রক্ষা করতে সক্ষম হবে? আর সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী!