ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১১:২১:৪০ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সফল উদ্যোক্তা আবিদার ‘শখের বাড়ি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪২ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার শিক্ষার্থী খন্দকার আবিদা সুলতানা। এইচএসসি ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। করোনাকালে পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ নেই। হাতে এখন অফুরন্ত সময়। এই অবসর সময় কাজে লাগানোর ভাবনা থেকে নিজের পরিচিতি কাজে লাগিয়ে তিনি শুরু করেন অনলাইন বিজনেস। এ লক্ষ্যে ফেসবুকে ‘শখের বাড়ি’ নামে একটি পেজ খুলে তিনি ব্যবসার প্রসার ঘটান।

২০২০ সালের মাঝামাঝি মাত্র অল্পকিছু পুঁজি দিয়ে যাত্রা শুরু করে আবিদার ‘শখের বাড়ি’। প্রথমদিকে শুধু পাহাড়ি অঞ্চলের জুম শাড়ি বিক্রি করেই তিনি ব্যাপক সাড়া পান। ধীরে ধীরে থ্রি-পিস ও মেয়েদের বিভিন্ন প্রসাধনীও যুক্ত করেন। বর্তমানে শখের বাড়িতে মেয়েদের প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যসামগ্রী পাওয়া যায়।

অনলাইন বিজনেসে নাম লেখানো খন্দকার আবিদা শুরু থেকেই ক্রেতাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। সময়ের সাথে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিত্যনতুন পণ্যসামগ্রী যুক্ত করেছেন। সবসময় পণ্যের গুণগত মানের উপর নজর রেখেছেন। স্বল্প লাভে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছেন।

অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও ব্যবসার প্রসার ঘটাতে তিনি শখের বাড়ির নিজস্ব একটি শো-রুম দেন। এতে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে সহযোগিতা করেন। শখের বাড়ির শো-রুমকে পরিপূর্ণ রূপে সাজাতে ও নিত্যনতুন পণ্যসামগ্রী যুক্ত করতে সম্প্রতি তিনি মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়াই লোন নেন।
ধীরে ধীরে সাফল্যকে নিজের করে নেওয়া আবিদা এখানেই থেমে থাকতে চান না। তিলে তিলে গড়ে তোলা শখের বাড়িকে আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে চান। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। সৈয়দপুরের পিছিয়ে পড়া নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের ভাগ্যের চাকা সচল করতে চান৷ এজন্য তিনি নিত্য দিনই সময়, শ্রম ও মেধা দিয়ে নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সৈয়দপুরের নারী উদ্যোক্তা খন্দকার আবিদা সুলতানা জানান, ছোটবেলা থেকেই আমার নিজে কিছু করার ভাবনা ছিল। এ লক্ষ্যে করোনার সময়টাকে আমি কাজে লাগাই। ধীরে ধীরে ব্যবসাটাকে বড় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শখের বাড়ি সম্পর্কে আবিদা সুলতানা আরও জানান, অনলাইন থেকে আমরা মোটামুটি ভালোই অর্ডার পাই। এখন আমরা অফলাইনেও নিজেদের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চাই৷ মেয়েদের পোশাক ও কসমেটিকসের পাশাপাশি ভবিষ্যতে দেশীয় পণ্যসামগ্রী নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে শখের বাড়ির।