লক্ষ্মীপুরে শিশুকে ধর্ষণশেষে হত্যা, যুবকের ফাঁসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৩:৫৮ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের আলোচিত মাদ্রাসার শিশুছাত্রী নুশরাত (৭) হত্যা মামলার রায়ে শাহ আলম রুবেলকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিরাজদ্দৌলাহ কুতুবী এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ১২ মঙ্গলবার রায়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। মামলার অপর আসামি সিএনজিচালক বোরহান উদ্দিনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। এই মামলায় মোট ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য নেয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও সরকারপক্ষের স্পেশাল পিপি আবুল বাসার জানান, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁ ইউনিয়নের নোয়াগাঁ গ্রামের সৌদী প্রবাসী এরশাদ হোসেনের শিশুকন্যা ও স্থানীয় মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নুশরাতকে (৭) একই বাড়ির প্রতিবেশী শাহ আলম রুবেল ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ আইসক্রিম খাওয়ানো ও টিভি দেখানোর লোভ দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় ঘরে অন্য কেউ ছিল না।
পরে রাতের আঁধারে নুশরাতের লাশ বস্তাবন্দি করে পার্শ্ববর্তী কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বক্ষপাড়া ঠাকুরবাড়ির ব্রিজের নিচে ফেলে দেয় রুবেল। বহু খোঁজাখুঁজির পর স্থানীয় লোকজন খালের মধ্যে বস্তাবন্দি লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে রামগঞ্জ থানা পুলিশ অর্ধগলিত অবস্থায় নুশরাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে শিশুটির মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ লাশের বস্তা বহনকারী সিএনজিচালিত অটোচালককে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ধর্ষক রুবেলের বন্ধু ক্যাবল অপারেটর ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিনকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রুবেলের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয়।
রামগঞ্জ থানা পুলিশ মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে খুলনা থেকে শাহ আলম রুবেলকে ১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ রায়ে শিশু নুশরাতের মা রেহানা বেগম সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।