ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৪২:০৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল আমি যেন রাজনীতিতে না আসি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:২৩ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

‘আমার বাবা যিনি তার সারাটা জীবন রাজনীতি করে কাটিয়েছেন। তার শেষ ইচ্ছা ছিল আমি যেন কোনোভাবেই রাজনীতিতে না আসি। এমনকি আমি তার জীবদ্দশায় রাজনীতিও করি নাই। কিন্তু রক্ত তো কথা বলে। তাই জন্ম থেকে আমার একটায় ইচ্ছা সফল রাজনীতিবিদ হওয়া। জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হওয়া এবং সে কারণে বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও বাবাকে বলেছি আমি ব্যারিস্টারি পড়তে যাচ্ছি। তিনি সেদিন কষ্ট পেয়েছিলেন। উনার চোখে আমি বেদনা দেখেছিলাম।’

শনিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাজনীতিবিদ অলি আহাদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।


বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে অলি আহাদকে মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আমার নাই। আমি ৯০ দর্শকের সন্তান। আমি সেই রাজনীতি দেখে বড় হয়েছি; যে রাজনীতিতে সফল হিসেবে ধরা হয়, যাদের অগাধ টাকা আছে। যার টাকা দিয়ে লোক আনবার, লোক কিনবার ক্ষমতা আছে। যার বিশাল বড় বাংলো আছে, যার প্রাডো গাড়ি আছে। সুতরাং, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে উনাকে (অলি আহাদ) বুঝবার, উনাকে ধারণ করার, উনাকে লালন করার যোগ্যতা আমার নাই।’

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে ৭৩ এর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাভী মার্কায় জয় লাভ করেছিলেন বাবা। বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে তার নামও ঘোষণা করা হয়। পরের দিন সকালে বাবার কাছে ফোন আসে, ওপাশ থেকে একজন বলে, কিরে অলি আহাদ জিতলি না আমাকে ছাড়া। পরে সেখানে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে সরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। যতদিন তিনি বেঁচে ছিলেন, এই তীব্র ব্যথা নিয়ে তিনি বেঁচে ছিলেন। তিনি আমাকে এ কথাটি প্রায় বলতেন আমাকে জিততে দিলো না।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জুনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।