ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫১:১২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভরণপোষণ না দেয়ায় মামলা, বৃদ্ধার বাড়িতে গেলেন বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দুই সন্তানের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মায়ের মামলার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। ওই বৃদ্ধা মা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় বিচারক তার বাসায় গিয়ে জবানবন্দি শুনে অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

বরিশালের অ‌তি‌রিক্ত চিফ মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যাজি‌স্ট্রেট আদালতের বেঞ্চসহকারী মো. চার্চিল এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার আবেদন করলে বাদীকে ২০০ ধারায় জবানবন্দি দিতে হয়। কিন্তু বাদী আদালতে আসতে না পারা বিজ্ঞ আদালত তার বাসায় ছুটে যান।


বৃহস্প‌তিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল সা‌ড়ে ৪টার দিকে অ‌তি‌রিক্ত চিফ মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যাজি‌স্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ অসুস্থ ওই বাদীর বাসায় যান।

বেঞ্চসহকারী মো. চার্চিল মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, মামলার বাদী জাহানুর বেগম (৭৫)। তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম ২০১৪ সা‌লের ১৪ ন‌ভেম্বর মৃত্যুবরণ ক‌রেন। জাহানুর ব্রেইন স্ট্রোক, মেরুদণ্ড অচল এবং পি‌ঠে ক্ষত ও প্যারালাই‌সিসসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে বরিশাল নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্যপাড়া জোড়াপুকুর এলাকায় ছোট মেয়ে সাহিদার সঙ্গে থাকছেন তিনি। তার আরও কয়েকজন ছেলে-মেয়ে আছে। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ও মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

চার্চিল আরও জানান, মামলায় বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি খুলনায় স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। তার চি‌কিৎসার খর‌চের জন্য খুলনার সম্প‌ত্তি বি‌ক্রির সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুসারে ক্রেতা খুলনার জমি ক্রয়ের জন্য ব‌রিশা‌লে এসে তা‌দের সঙ্গে কথা বলেন। শুক্রবার (২২ অ‌ক্টোবর) তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন ব‌রিশা‌লে এ‌সে সম্প‌ত্তি বি‌ক্রি কর‌তে দে‌বেন না ব‌লে জানায়। তখন জাহানুর বেগম তার সন্তানদের কাছে ভরণপোষণ দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ শেষে আসামিদের ১ ন‌ভেম্ব‌রের ম‌ধ্যে সশরী‌রে আদালতে হাজির হওয়ার নি‌র্দেশ দেন বিচারক।

ব‌রিশাল সমাজ‌সেবা অ‌ধিদফতরের প্রবিশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পার‌ভেজ ব‌লেন, জাহানুর বেগম পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইন ২০১৩ এর ৫ ধারা মোতা‌বেক আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেন। বাদীপ‌ক্ষের আইনজীবী ও না‌লিশি দরখা‌স্তের বাহকের মাধ্যমে আদালতের বিচারক জান‌তে পা‌রেন বাদী শয্যাশা‌য়ী। বিচারক এজলা‌সের কার্যক্রম শে‌ষে আমা‌কে সঙ্গে নি‌য়ে না‌লিশি দরখা‌স্তের সত্যতা যাচাই‌ করতে বাদীর বাসায় যান। বাদীর আইনজীবী ও আমার উপ‌স্থি‌তি‌তে জবানব‌ন্দি রেকর্ড ক‌রেন আদালত।