ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১০:২৮:০২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিশুর অ্যালার্জি ও অ্যাজমার লক্ষণ,যা করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২১ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শিশুদের অ্যালার্জি একটি কমন সমস্যা।  অনেকের আবার অ্যাজমাও হয়ে থাকে।  শিশুরা এসব সমস্যায় ভোগলে বাবা-মায়ের দুঃশ্চিন্তার অন্ত থাকে না।

শীতকালে চলার গতি একটু সীমিত হলেও রোগ জীবাণু কিন্তু থেমে থাকে না। তারা যেন আরও একধাপ এগিয়ে যায়। ফুসফুসে ভাইরাল ইনফেকশন হলেই শ্বাসকষ্ট হয়।  ভাইরাস ফুসফুসের সারফেস লাইনিং নষ্ট করে দেওয়ায় মিউকোসাল ইমিউনিটি কমে যায়।  এতে করে ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।  ফুসফুসের এ ভাইরাল ইনফেকশন এবং ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ থেকেই হতে পারে নিউমোনিয়া।

শিশুদের বেশি নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা থাকে।  কারণ বাচ্চাদের ডিফেন্স মেকানিজম বড়দের তুলনায় দুর্বল। তার ওপর বাচ্চারা স্কুলে অনেক বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে, মাঠে খেলাধুলা করে তাই বাচ্চাদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কাছাকাছি আসার আশঙ্কাও বেশি। বড়রা যদি বাচ্চাদের সামনে ধূমপান করেন তা থেকেও বাচ্চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিশুর শ্বাসকষ্টের লক্ষণ

* বেশ কয়েক দিন টানা জ্বর

* ঘন ঘন শ্বাস নেবে এবং শ্বাস নেওয়ার হাড় বেড়ে যাবে

* শ্বাসের সঙ্গে কোনো আওয়াজ হলে

* শ্বাস নেওয়ার সময় পেট ভেতরে ঢুকে গেলে

* বুকে ব্যথা হলে

* ঘন ঘন শুকনা কাশি

* অতিরিক্ত খিটখিটে মেজাজ

* ঘুমঘুম ভাব এগুলোর সঙ্গে যদি কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এবং নাকের মাথা, ঠোঁটের চারপাশে নীল হয়ে যায় তাহলে অবহেলা না করে চটজলদি একজন শিশু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার

পরিবারে কারও এ্যাজমার হিস্ট্রি না থাকলেও প্রথম থেকেই কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে পারলে ভালো।

* জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করান অতি জরুরি। এতে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

* ভ্যাকসিনেশন-সবগুলো ভ্যাকসিন যেন সঠিক সময়ে অবশ্যই দেয়া হয় সেদিকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে।

* বাচ্চার ঘর যেন হয় আলো বাতাসে ভরপুর।

* প্রতিদিন বাচ্চা যেন রোদে কিছু সময় হলেও থাকতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সূর্যরশ্মি থেকে আমাদের শরীরে যে ভিটামিন তৈরি হয় তাও আমাদের রোগ প্রতিরোধ করে।

* বাচ্চাদের নিউট্রিশনাল ব্যালান্স জরুরি।

* পর্যাপ্ত পানীয় খাবার নিশ্চিত করতে হবে।

* বাসার কাজে সাহায্যের জন্য যারা আছেন তাদের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরও প্রপার হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে।

* স্কুল থেকে এবং বিকালে খেলাধুলা করে বাচ্চারা বাসায় ফিরলে তাদের ঘামে ভেজা জামা-কাপড় পাল্টে দিয়ে হাত মুখ ধোয়ানোর অভ্যাস করতে হবে।

* বাইরে যাওয়ার সময় এবং ঘুমানোর সময় বাচ্চাদের শরীরে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যাবে।