ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ৭:৪৬:২৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু সুপ্রিম কোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ১ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

দেড় বছরের বেশি সময় পর সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়েছে আজ বুধবার।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে আপিল বিভাগও ও হাই কোর্ট বিভাগে বিচারিক কাজ পরিচালিত হবে।

সেই হিসেবে বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু হয়েছে।

গত বছর মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটির’ সঙ্গে মিল রেখে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ফলে দেশের বিচার ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।

পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে গত বছর ৯ মে অধ্যাদেশ জারি হয়।

পরদিন সুপ্রিম কোর্ট ভিডিও কনফারেন্সসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘প্র্যাকটিস’ নির্দেশনা জারি করে। ১১ মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথমবার ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরে হাই কোর্টের কয়েকটি বেঞ্চেও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু করা হয়। পাশাপাশি ভার্চুয়াল আদালতও চালু থাকে। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ আপিল বিভাগ এবং চেম্বার আদালত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই চলে আসছিল।

তবে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গত সপ্তাহে আভাস দেন, ডিসেম্বর থেকেই শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে পুরোপুরিভাবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ২৯ নভেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।