বাসিমা ইসলামের ডিভাইস স্থান পেল ফোর্বস ম্যাগাজিনে
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার
ফাইল ছবি
ব্যাটারি ছাড়া চালানো যাবে পরবর্তী প্রজন্মের এমন ‘ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)’ ডিভাইস তৈরিতে কাজ করার জন্য এবার ফোর্বস ম্যাগাজিনে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের বাসিমা ইসলাম। ‘৩০ আন্ডার ৩০’ অর্থাৎ তিরিশ বছরের কম বয়সি ৩০ জনের মধ্যে সায়েন্স ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী বাসিমা।
তাকে নিয়ে ফোর্বস ম্যাগাজিন লিখেছে, বাসিমা ইসলাম এমন ডিভাইসের উন্নয়নে কাজ করছেন, যা সৌরশক্তি এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করেই চার্জ দেওয়া যাবে। এ ছাড়া তার এসব ডিভাইস হবে শব্দভেদী। এসব ডিভাইস পথচারীদের নিরাপত্তা দিতে সহায়তা করবে। শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে যানবাহন থেকে পথচারীদের নিরাপদ রাখবে। এমন সব চমৎকার কাজের জন্য ফোর্বস ম্যাগাজিন বাসিমাকে বেছে নিয়েছে। এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ফোর্বস ম্যাগাজিনে। বাসিমা বলেন, ‘আমার ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণার বিষয়বস্তু বহুমুখী। এর মধ্যে আছে মেশিন লার্নিং, মোবাইল কম্পিউটিং, এম্বেডেড সিস্টেমস এবং ইউনিকুইটাস কম্পিউটিং।’
উল্লেখ্য, আইওটি ডিভাইসগুলো প্রচলিত ডিভাইসের চেয়ে খানিকটা আলাদা। এগুলো ওয়্যারলেস সিগন্যাল ও সংযোগের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। রিমোট সেনসিং, উপস্থিতি শনাক্তকরণ, কোনো বস্তু কিংবা অবস্তুগত সত্তার ব্যাপারে ব্যবহারকারীকে অবহিতকরণই মূলত আইওটি ডিভাইসগুলোর কাজ।
ফোর্বস বাংলাদেশের এ উদীয়মান প্রতিভার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, বাসিমা ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ওরস্টার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক। বাসিমার উদ্ভাবিত ডিভাইসের মধ্যে একটি হবে হাতে পরিধানযোগ্য। এর থাকবে শব্দ শুনে কাজ করার ক্ষমতা। ডিভাইসটি রাস্তায় নামা পথচারীকে যানবাহন এলে আগেই সাবধান করে দেবে। বাসিমা ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পেরিয়ে ভর্তি হন বুয়েটে। তিনি ২০১৬ সালে বুয়েট থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে ২০২১ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
মেয়ের এ সাফল্যে অনুভূতি জানাতে গিয়ে বাবা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট) অ্যাডভোকেট শেখ বাহারুল ইসলাম এবং মা ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক লাইলুন নাহার বলেন, ‘আসলে খবরটা জানতে পেরে আমরা এত খুশি হয়েছি যে, অনুভূতি জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা সবার কাছে দোয়া চাইছি, মেয়েটি যেন আরও গবেষণা করে নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।’