মীমের চাকরি না হওয়ায় হাইকোর্টের অসন্তোষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণ নারী কোটায় প্রথম হয়েও স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় চাকরি হয়নি খুলনার মীম আক্তারের। এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত বলেছেন, ‘ঠিকানা না থাকলে চাকরি হবে না, এটা হতে পারে না’।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
খুলনা জেলা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ফলাফলে মেধাক্রমে প্রথম হন মীম আক্তার। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানার জটিলতায় পুলিশ প্রতিবেদন তার বিপক্ষে যায়। তবে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানিয়েছিলেন, মেডিকেলের সর্বশেষ পরীক্ষায় মীম আনফিট হয়েছিলেন এবং স্থায়ী ঠিকানার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারকে সার্বিক বিষয় জানানো হয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেখান থেকে ফিরতি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। দু-এক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
মীমের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, খুলনায় আমরা ৩২ বছর বসবাস করছি। আমার স্থায়ী কোনো ঠিকানা নেই। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। পরদিন সকালে ডিসি অফিসে কাগজপত্র নিয়ে যায়। সেখানে কিছু কাগজপত্র দিয়েছি। স্থায়ী বসবাসের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
মীমের আবেদনপত্র সূত্রে জানা গেছে, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকেন মীম ও তার পরিবার। তার বাবা খুলনার বয়রা ক্রস রোডে ভাড়ায় ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে লেপ-তোশকের ব্যবসা করেন। মা আছিয়া খাতুন গৃহিণী। মীমরা চার বোন।
২০১৯ সালে নগরীর পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট পেয়ে এসএসসি পাস করেন মীম। খুলনা সরকারি মহিলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।