অবশেষে সার্জেন্ট মহুয়ার মামলা নিল বনানী থানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
গাড়ি চাপায় বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজং আহতের ঘটনায় অবশেষে ভুক্তভোগীর মেয়ে পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের মামলা নিয়েছে পুলিশ। তবে এই মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি বলে জানা গেছে।
মহুয়ার মামলা না নেয়ার ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মধ্যে ঘটনার ২ সপ্তাহ পর আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মামলা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া। তিনি বলেন, ‘আজকেই মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর-২৫।’
মামলা নিতে এত সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে উপ-কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনার পরই আমরা অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু যাচাই করার প্রয়োজন ছিল। আমরা যাচাই বাছাই করে মামলা নিয়েছি।’
যাচাই করে কী পাওয়া গেছে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করেছি। মধ্যরাতে মনোরঞ্জন হাজং মোটরসাইকেলে উল্টোপথে এসে চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপের ওখানে দাঁড়ান। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। আমরা মামলা নিয়েছে।’
ডিসি আসাদুজ্জামান বলেন, গাড়িটি কে চালাচ্ছিলেন, কীভাবে দুর্ঘটনাটি হলো, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
গত ২ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানবাড়ি ইউলুপে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গাড়ির ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন মনোরঞ্জন। তার ডান পা প্রথমে গোড়ালি পর্যন্ত, পরে সংক্রমণ হওয়ায় হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে।
জানা গেছে, মনোরঞ্জন আগে থেকেই হার্টের রোগী। এই অবস্থায় এই দুর্ঘটনার ধকল তিনি নিতে পারছেন না। তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরপর মামলা করতে একাধিকবার চেষ্টা করেও সফল হননি মনোরঞ্জনের মেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারের চালক যুবককে আটক করেও ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সেই যুবক এক বিচারপতির ছেলে বলে গণমাধ্যমে এসেছে। তবে তার নাম কী, সেটি প্রকাশ পায়নি।
মহুয়া হাজং তার মামলার আবেদনে সেই যুবকের নাম উল্লেখ করার পর তাকে নামটি কেটে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয় থানা থেকে। কিন্তু মহুয়া তাতে রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত কারও নাম ছাড়াই মামলাটি রুজু করা হয়।