ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ১:১৩:৪৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অগ্রগণ্য নারী বিজ্ঞানীদের কথা

অনন্যা সরকার

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার

শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে নারীর অবদান অপরিসীম। সভ্যতার শুরু থেকে মেয়েরা জীবনের নানা দিকে কাজ করছেন সমানভাবে। আজ জেনে নেয়া যাক বর্তমান বিশ্বের কিছু অগ্রগণ্য নারী বিজ্ঞানীদের কথা। 

 

এলিজাবেথ ব্ল্যাকবার্ণঃ ২০০৯ সালে এলিজাবেথ শারীরবিদ্যায় কিংবা ঔষধবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ক্রমোজোম। টেলোমিয়ার যা ক্রমোসমকে ক্ষয়িষ্ণুতার হাত থেকে বাঁচায়, সেটিই ছিল তার গবেষণার মূল বিষয়। আমাদের বয়স কিভাবে বাড়ে কিংবা আমাদের মৃত্যুর জন্য কোন উপাদানগুলো দায়ী, সেটি নিয়েই কাজ করেছেন তিনি।

 

তার বিখ্যাত উক্তিঃ আমি কেবলমাত্র কিছু জিনিসের নাম মনে রাখতে চাই না। তারা কিভাবে কাজ করে, সেটি জানাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য।

 

ইউজিন ক্লার্কঃ ইউজিনকে “হাঙর কন্যা”ও বলা হয়ে থাকে। কারণ, সমুদ্রবিদ্যায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হাঙর কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সেটি নিয়েই কাজ করেছেন ইউজিন। স্কুবা টেকনোলজি নিয়ে যারা কাজ করেছেন, ইউজিন তাদের মাঝে অন্যতম।

 

তার বিখ্যাত উক্তিঃ যেসকল মানুষ বিজ্ঞান বোঝেন কিংবা বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেন, তাদের আমরা নিজেদের ইচ্ছেমত অবহেলা করি।

 

গারটি কোরিঃ আমাদের শরীর কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা কিভাবে পাচ্যে পরিণত করে, সেটি নিয়ে গবেষণা করে নোবেল পেয়েছেন কোরি। তার এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় দ্য কোরি সাইকেল বা কোরি চক্র। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডাকটিকিটে তার ছবি অংকিত আছে। এমনকি চাঁদের একটি অংশের নামও তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

 

তার বিখ্যাত উক্তিঃ  মানুষ অপেক্ষা করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। যখন এটি সে পেয়ে যায়, তখন আর কোন কিছুর পরোয়া করে না। বিজ্ঞানীরাও ঠিক তাই।

 

মারি কুরিঃ মারি কুরি আমাদের সকলের কাছে পরিচিত একটি নাম। তিনিই একমাত্র নারী বিজ্ঞানী যিনি রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে দুইবার নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। রেডিয়াম ও পোলোনিয়াম নামক দুটি মৌলের আবিষ্কারক তিনি। ২০০৯ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি ভোটে তাকে শতাব্দীর সেরা নারী বিজ্ঞানীর খেতাবে ভূষিত করা হয়।

 

তার বিখ্যাত উক্তিঃ আমাদের সকলের মাঝে ধৈর্য্যের চর্চা করা উচিত। ভুলে গেলে চলবে না, স্রষ্টা আমাদের একটি মহৎ উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেটি হাসিল হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের ধৈর্য্য ধারণ করতেই হবে।

 

সূত্রঃ ফিমেল অন্ট্রেপ্রেনার্স ডট ইন্সটিটিউট