খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার আবেদন পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে
বিবিসি বাংলা অনলাইন
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:৪৮ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার
পুরোনো ছবি।
বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এরপর সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামতের জন্য পাঠানো হবে। ঢাকায় সচিবালয়ে মঙ্গলবার এসব কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার নভেম্বরের মাঝামাঝি সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছিল। সে চিঠির বিষয়ে আইনগত মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে অসুস্থ ৭৬-বছর বয়সী খালেদা জিয়া এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার আবেদনে আইনমন্ত্রী মতামত দিয়েছেন। আমরা এটা স্টাডি করে দেখছি, অধিকতর পরামর্শ প্রয়োজন হলে আমরা সেটাও নেবো।’
‘এটা নিয়ে আরো কথা বলতে হবে। আইনমন্ত্রী যেভাবে লিখেছেন, তাতে আইনগতভাবে বিদেশে নেয়ার কোন সুযোগ নেই’ বলেছেন তিনি।
এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।সেসময় ৫৪দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৯ জুন বাসায় ফিরেছিলেন।বছরের শেষদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে তৃতীয়বারের মত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে ভুগছেন। খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি এবং ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতা ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এখন উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকায় এবং জ্বরের কারণে তাকে হাসপাতালে সিসিইিউতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তার দল বিএনপি শুরু থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতেও তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথম দফায় দণ্ড স্থগিত করা হলে কারাগার থেকে তিনি সাময়িক মুক্তি পান। এরপর কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।