ঢাকা, শনিবার ৩০, নভেম্বর ২০২৪ ০:৩৭:১৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শিমুকে হত্যা করে স্বামী, লাশ গুমে সহায়তা বন্ধুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

পারিবারিক কলহ ও দাম্পত্যের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে তার স্বামী নোবেল হত্যা করেছে। আর লাশ গুম করতে সাহায্য করে নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার। 

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘খুনিরা যদিও খুবই পরিকল্পিতভাবে লাশটি কেরানীগঞ্জে হযরতপুরে ফেলে যায়। তবে তারা কিছু চিহ্ন রেখে যায়। আমরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বাল্যবন্ধু এসএম ওয়াই আব্দুল্লাহকে রাতেই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসি। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর শিমুর স্বামী ও তার বন্ধুর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে নোবেলের সাথে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় শিমুর। দাম্পত্য কলহের জেরে ১৬ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে শিমুকে হত্যা করা হয়।’

এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নোবেলের গাড়িটিও জব্দ করা হয়। গাড়িতে রক্তের আলামত ছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন শিমুর ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

এদিন সকাল ১০টার দিকে সংবাদ পেয়ে কলাতিয়া ফাঁড়ির পুলিশ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ও কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হযরতপুর ইউনিয়ন এলাকায় পাকা রাস্তা সংলগ্ন ঝোঁপের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে মৃতদেহের নাম-পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়।


মারুফ হোসেন সরদার বলেন, তদন্তে জানা যায় মৃতদেহটি চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর। তার বয়স ৪১ বছর। তিনি সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন।

এর আগে সোমবার রাতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে নায়িকা শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, আমার বোন জামাই নোবেলই প্রথম আসামি। তার ড্রাইভার এবং বন্ধু ফরহাদ তাকে এ বিষয়ে সাহায্য করেছে। তাদের রক্তমাখা গাড়িটিও উদ্ধার করেছে র‍্যাব।


বোন জামাইকে কেন সন্দেহ করছেন জানতে চাইলে খোকন বলেন, ‘তার গাড়িতে রক্ত ছিল, তারা রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ছিল না, এ সময়ের মধ্যেই লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় পাশে থাকা জায়েদ খান বলেন, ‘ড্রাইভারকে ধরার পরে সে সব বলেছে।’

উল্লেখ্য, সিনেমার পাশাপাশি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন শিমু। সাম্প্রতিক সময়ে 'ফ্যামিলি ক্রাইসিস' নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'বর্তমান' সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। এরপর ২৩টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন তিনি।