আধুনিকতাবাদী লেখক ভার্জিনিয়া উল্ফের জন্মদিন আজ
সাহিত্য ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:২২ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
ফাইল ছবি।
‘নারী যখন ফিকশন লেখে তখন তার একটি কক্ষ আর কিছু অর্থ খুব প্রয়োজন’ কথাটি এক ভাষণে বলেছিলেন উনিশ শতকের ইংরেজি ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক ভার্জিনিয়া উল্ফ। আজকের যুগেও কথাটি যথার্থ। আজ ২৫ জানুয়ারি এই লেখকের ১৪০তম জন্মদিন। উনিশ শতকের ব্রিটিশ আধুনিকতাবাদী লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ১৮৮৮ সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়কালে তিনি লন্ডন লিটারেসি সোসাইটি এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হল, মিসেস ডাল্লাওয়ে (১৯২৫), টু দ্যা লাইটহাউজ (১৯২৭), ওরলান্ডো (১৯২৮)। তার রচিত ভাষনণসংকলন এ রুম ওয়ান’স ওন (১৯২৯) ।
উল্ফ ডিপোলার ডিজঅর্ডার নামক একটি মানসিক রোগে ভুগেছিলেন। তিনি ১৯৪১ সলে ৫৯ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
ভার্জিনিয়া উল্ফ এর পুরো নাম ছিল অ্যাডেলাইন ভার্জিনিয়া স্টিফেন। তার বাবার নাম স্যার লেসলী স্টিফেন এবং মার নাম জুলিয়া প্রিন্সেপ ডাকওয়ার্থ স্টিফেন। কাকা বিখ্যাত আইনবিদ ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের জনক জেমস ফিটজেমস স্টিফেন।
বাবা স্যার লেসলী ছিলেন একজন স্বনামধন্য ইতিহাসবিদ, লেখক, সমালোচক এবং পর্ব্বত আরোহী। বাবার লেখালেখি ভার্জিনিয়াকে একজন সাহিত্যিক হতে উৎসাহ যুগিয়েছিল। ভার্জিনিয়ার মা জুলিয়া স্টিফেনের জন্ম তৎকালিন ব্রিটিশ ভারতে। পরে তিনি ইংল্যান্ডে চলে আসেন।
পেশা হিসাবে উল্ফ লেখালেখি শুরু করেন ১৯০০ সালে। টাইমস লিটারারি সাপ্লিমেন্ট-এ তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ভয়েজ আউট’ প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে।
বইটি প্রকাশিত হয় তার সৎ ভাইয়ের কোম্পানি গেরাল্ড ডাকওয়ার্থ অ্যান্ড কোম্পানি লিঃ থেকে। তার বেশিরভাগ লেখার প্রকাশক তিনি নিজেই। প্রকাশিত হয়েছিল হগার্থ প্রেস থেকে। উল্ফ তার লেখায় চরিত্রগুলির মনস্তাত্ত্বিক ও আবেগের বিষয়গুলি নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তার সুনাম কিছুটা কমে আসে।
ভার্জিনিয়া উল্ফ-এর শেষ উপন্যাস ‘বিটউইন দ্যা অ্যাক্টস’ লেখা শেষ করার পর তিনি বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার লন্ডনের বাড়ি ধ্বংস হওয়া এর পিছনে একটি কারণ। অবশ্য এর আগেও তিনি বিভিন্ন কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
১৯৪১ সালের ২৮ মার্চ উল্ফ তার ওভারকোটের পকেট ভারি পাথর দিয়ে ভর্তি করে ওউজ নদীতে ডুবে আত্মহত্যা করেন তিনি। দশ দিন পর ১৮ এপ্রিল নদীতে তার দেহাংশ পাওয়া যায়। রডমেল, সাসসেক্স এর মংক হাউজে একটি এলম গাছের নিচে তাকে সমাহিত করা হয়।