সিরাজগঞ্জে খিরার বাম্পার ফলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
সিরাজগঞ্জের খিরা যাচ্ছে সারাদেশে। বাজারে খিরার দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে সুখের হাসি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে খিরা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার সবচেয়ে বেশি খিরা আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত খিরা বিক্রির জন্য তাড়াশ উপজেলার দিঘরিয়া এলাকা ও উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে খিরা বিক্রির আড়ত।
প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা খিরা বিক্রি করার জন্য এই আড়তে ভিড় করছেন। এখান থেকে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা ট্রাক নিয়ে খিরা কিনতে আসেন। এই এলাকার খিরা সাধারণত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরিয়া, কুশম্বি, বিনসাড়া, তালম ইউনিয়নের তালম, উপর সিলোট, রানীহাট, সগুনা ইউনিয়নের কাটা বাড়ী, নাদোসৈয়দপুর, বিন্যাবাড়ী ও মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে খিরার চাষ তুলনামূলক ভাবে এবার অনেক বেশি হয়েছে।
এছাড়া উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার মোহনপুর, উধুনিয়া ও বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নে খিরা চাষ হয়েছে ।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলনবিলের তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত খিরা বেচাকেনার জন্য তাড়াশ উপজেলার দিঘুরিয়া খিরার আড়ত প্রায় ২০ বছর আগে চালু হয় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে আড়তটিতে শুরু হয় খিরা কেনাবেচা।
খিরা আড়তদার ইকবাল জানান, প্রতিদিন শত শত মেট্রিক টন খিরা বেচা-কেনা হচ্ছে। তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উৎপাদিত খিরা রাজধানীসহ সারাদেশে যাচ্ছে।
দিঘরিয়ার হাটে ঢাকা থেকে আসা খিরার পাইকার সোহবার আলী জানান, প্রতি বছরই এই এলাকায় এসে খিরা নিয়ে ঢাকা শহরের বিক্রি করি। তবে এ বছর খিরার দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু বেশি। তারপরও এ এলাকার খিরার চাহিদা বেশি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা জানান, গত বছর খিরা চাষ হয়েছিলো ৩৫২ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪২৮ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে এবং ফলনও আগের তুলনায় অনেক ভালো। বোর ধান আবাদের চেয়ে খিরা আবাদ লাভজনক হওয়ায় খিরা চাষ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে।