১৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৭:৩০ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি
জ্ঞানপিপাসু বাঙালির প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওইদিন বিকেল ৩টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হেয়ে এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বইমেলা উদ্বোধন করতে সদয় সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। করোনার কারণে ২০২১ সালে বইমেলার সীমিত আয়োজনের মধ্যে মেলা জমে না ওঠায় প্রকাশকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক প্রকাশক তাদের কাজ স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছেন গত দুই বছর। এ বছরও ওমিক্রনের বিস্তার বেড়ে গেলে নতুন করে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় কিনা সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রকাশকরা।
ইতোমধ্যে স্টল বরাদ্দসহ বেশকিছু কাজের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলা একাডেমি। এরই মধ্যে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী জারি হয়েছে নতুন করে বিধিনিষেধ। বাংলাদেশেও সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। এই অবস্থায় মেলার জনসমাগম কীভাবে সামলানো হবে বা আদৌ মেলা করা সম্ভব হবে কিনা সে নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রকাশক, লেখক, পাঠক সকলের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, বইমেলা কি হবে না? আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি বলছে, এখন পর্যন্ত প্রস্তুতি চলছে। তবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি যেভাবে সিদ্ধান্ত দেয় সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবেন তারা বলেও উল্লেখ করেন। আর এ পরিস্থিতিতে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় প্রকাশকদের পক্ষ থেকে একটু রয়েসয়ে নীতি মেনে প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এ অবস্থায় কমিটির পক্ষ থেকে সব ধরনের সমাবেশ বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় যেকোনো অপ্রীতিকর সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হবে এটা ধরে নিয়েই প্রকাশকরা নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে তবে প্রস্তুতির সময় একটু রয়েসয়ে হিসাব-নিকাশ করে এগোলে ক্ষতি কম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা