ঢাকা, রবিবার ১৭, নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৫:১৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রঙ বেরঙয়ের বাহারি ফুলে সেজেছে শালবন বিহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৬ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা জেলার শালবন বিহারে দৃষ্টিনন্দন ফুলের সমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছে ময়নামতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন জাতের ফুলের চারা এনে রোপন করা হয়েছে। কুমিল্লার প্রাচীনতম শালবন বিহারের এ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে আসা লোকজন বিভিন্ন ধরনের ফুলের সমারোহ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ২৭ প্রকার ফুলে সাজানো হয়েছে শালবন বিহারকে। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে পাঁচ প্রকার গোলাপ, তিন প্রকার গাঁদা, সেলভিয়া, কসমস, জিনিয়া, ডালিয়া, জারবেরা, সূর্যমুখী, নয়নতারা, পিটুনিয়া, বোতাম ফুলসহ রংবেরংয়ের বাহারি ফুল। পুরো শালবন এলাকা সেজে রয়েছে ফুলে ফুলে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখার পাশাপাশি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফুলের মেলায়। অনেকে ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন। আবার অনেকে ফুল গাছের পাশে বসে সময় কাটাচ্ছেন।

কুমিল্লা ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান হাসিবুল হাসান  
বলেন, কুমিল্লার লালমাই ও ময়নামতি পাহাড় এলাকায় অন্তত ২৩টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উন্মোচিত হওয়া ১২টির মধ্যে শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর থেকে সরকার রাজস্ব আয় করছে। অন্যগুলো এখনও বিনা খরচে দেখতে পারছেন পর্যটকরা। ২০২০ সালে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে কয়েক দফায় বন্ধ থাকে শালবন বিহার। এরপর গত বছরের অগাস্টে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি চালু করা হয়। তবে 

করোনাভাইরাসের কারণে আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কমে যায় দর্শনার্থীর সংখ্যা। এ অবস্থায় পর্যটকদের ফেরাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করার পাশাপশি সৌন্দর্য বাড়াতে পুরো বিহার এলাকাকে ফুলের মেলায় সাজানো হয়েছে। সামনে বিহারের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আরও ব্যাপক হারে ফুলের বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

দর্শনার্থী লানিসা সিদ্দিকা লানিসা বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এভাবে অনেকদিন কোথাও যাওয়া হয়নি। ভাবলাম কাছাকাছি কোথাও থেকে ঘুরে আসি। এজন্য সবাই এখানে এসেছি। এসে ফুলের এমন দৃশ্য দেখে সত্যি আমরা মুগ্ধ হয়েছি। পরিবেশটা মনে হয় বদলে গেছে। ঘুরতে এসে অসম্ভব ভালো লাগছে। 

অপর দর্শনার্থী কাউসার খন্দকার বলেন, শালবন বিহার এখন শুধুই ইট-পাথরের পুরোনো কীর্তি নয়। ফুলের বাগান এর সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। ফুলের মেলার সঙ্গে ঐতিহাসিক এ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।